হোম > ছাপা সংস্করণ

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত

সম্পাদকীয়

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে যাচ্ছে মানুষ, কিছু একটা ঘটছে সেখানে। এমন নয় যে, যেখানে পর্যটকেরা গড়ে তুলছে অস্থায়ী আবাস, সেখানে সেবার মান খারাপ। সংকটটা মূলত প্রাকৃতিক। আরও সহজ করে বললে বলতে হয়, প্রকৃতিকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে বলেই ঘটছে এই সংকট।

নাগরিক জীবনের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে অথবা ব্যস্ত জীবনের একগুঁয়েমি কাটাতে মানুষ সাধারণত ভ্রমণে বের হয়। আমাদের দেশে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে কক্সবাজারের পরেই কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের আকর্ষণ বেশি। ভ্রমণ করতে কে না পছন্দ করে! তবে আশঙ্কা তৈরি হয়, যখন সমুদ্রসৈকত নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ চোখে পড়ে। হ্যাঁ, আমাদের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় চর জাগার কারণে ঢেউগুলো দুর্বল হয়ে গেছে এবং একই সঙ্গে গর্জনের মাত্রাও কমে গেছে। এ কারণে ভবিষ্যতে দর্শনার্থীদের কাছে কুয়াকাটার আকর্ষণ কমে যেতে পারে। এ নিয়েই আজকের পত্রিকায় ১২ মার্চ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

সমুদ্রসৈকতের মূল আকর্ষণ হলো উথাল-পাতাল ঢেউয়ের সঙ্গে সমুদ্রের তীব্র গর্জন। আর সমুদ্রের হিমেল হাওয়ায় মন ভরে শ্বাস নেওয়ার জন্যই মানুষ সমুদ্রে বেড়াতে যায়। কিন্তু যখন এসবের কোনো কিছুই পাওয়া না যায়, তখন এর প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। আশঙ্কার বিষয়টি সে কারণেই।

কেন কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে এই অবস্থার সৃষ্টি হলো, সেটা নিয়ে কর্তৃপক্ষের এখনই ভাবা উচিত। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এক যুগ আগেও এই সৈকতে দূর থেকে শোনা যেত সমুদ্রের গর্জন আর বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ত সমুদ্রের তীরে। বেড়িবাঁধ থেকে এক কিলোমিটার দূরে ছিল সৈকত। এখন ভাঙতে ভাঙতে সমুদ্রটি বেড়িবাঁধের কাছে চলে এসেছে।

মূলত ২০০৭ সালে উপকূল অঞ্চলে প্রলয়ংকরী সিডরের আঘাতে ভাঙতে ভাঙতে বেড়িবাঁধের কাছে চলে এসেছে সমুদ্র। এখন আর আগের মতো সাগরের ঢেউ আর গর্জনের দাপট নেই।বর্তমানে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ঢেউয়ের উচ্চতা ৬ ইঞ্চি থেকে ১ ফুটের ওপরে। অথচ ২০ বছর আগে এখানে সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল ১ ফুট থেকে দেড় ফুটের ওপরে।

কুয়াকাটাসংলগ্ন সমুদ্রের তিন-চার কিলোমিটারজুড়ে চর জেগেছে। এ কারণে আগের মতো এই সমুদ্র থেকে মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত হলো, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের এই অবস্থা হয়েছে। আর সেই সঙ্গে প্রতিবছর হিমালয় থেকে টনের পর টন বালু বঙ্গোপসাগরে পড়ে সমুদ্রে চর জাগছে। ঢেউ এসে সমুদ্রে জাগা চরে ধাক্কা লাগছে। এ কারণে ঢেউ কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কূলে বড় আকারে আছড়ে পড়তে পারছে না। এতে গর্জনও কমে গেছে।

যেকোনো ভ্রমণের স্থান হলো অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জায়গা। এসব জায়গায় অনেক মানুষকে বিভিন্ন ধরনের পেশায় যুক্ত থাকতে দেখা যায়। আমাদের দেশে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় ভ্রমণের জায়গা এমনিতেই কম। তাই সরকারের উদ্যোগে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের বর্তমান সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে সমুদ্রের পরিচর্যাও দরকার। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ