হোম > ছাপা সংস্করণ

গৃহী আশ্রয়ে, চুরি হচ্ছে ঘরে

সিলেট প্রতিনিধি

নগরীর শাহজালাল উপশহরের এ ব্লকের ২ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাসায় এক সপ্তাহ আগে পানি ঢোকে। তাই গৃহকর্তা ফেরদৌস আহমেদ আরবী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নগরীর মজুমদারী এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় চলে যান। বাসায় কারও না থাকার সুযোগে গত বুধবার রাতের কোনো এক সময় চোর প্রবেশ করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

ফেরদৌস আহমেদের মতো মহানগরীর বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে অনেকেই নিজের বাসাবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। সেই সুযোগে ওই সব এলাকায় বেড়েছে চুরি।

ফেরদৌস আহমেদ আরবী বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে বাসায় পানি ঢুকে যায়। তারপর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নগরীর মজুমদারী এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় চলে যাই। আমাদের বাসায় না থাকার সুযোগে গত বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় জানালার গ্রিল কেটে নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার কয়েকটি কক্ষে ঢুকে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসেটসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে যায় চোর। সকালে প্রতিবেশীরা জানালার গ্রিল কাটা দেখে আমাকে খবর দিলে বাসায় এসে পুলিশে খবর দিই। খবর পেয়ে শাহপরাণ থানা ও উপশহর কেন্দ্রের পুলিশ এসে বাসা পরিদর্শন করে।’

ফেরদৌস আরবী অভিযোগ করে বলেন, দুই নম্বর রোডে তাঁর বাসার অবস্থান এবং ৫ নম্বর রোডে পুলিশ ফাঁড়ি। তবু তার বাসায় চোরেরা নির্বিঘ্নে চুরি করেছে। তিনি বলেন, তাঁর বাসার আশপাশে সিটি করপোরেশনের অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু এগুলো বেশ কয়েক দিন ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। এগুলো মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না সিসিক। ফলে চোরেরা বিনা বাধায় চুরি করতে পারছে।

মহানগর পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান (র.) থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শন করেছি। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে চোরদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাব।

১০ মে থেকে সিলেটে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। সেই সঙ্গে উজান থেকে নামে পাহাড়ি ঢল। ফলে ১১ মে থেকে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে থাকে। আর ১৩ মে থেকে নগরীর নিম্ন ও সুরমা তীরবর্তী এলাকাগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হতে থাকে। বন্যা পরিস্থিতির কারণে নগরীর শাহজালাল উপশহর, যতরপুর, শেখঘাট, কলাপাড়া, সোনাপাড়া, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, ছড়ারপার, চালিবন্দর কানিশাইল, মণিপুরি রাজবাড়ি, তালতলা, জামতলা এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যায় এবং বাসাবাড়িতে পানি উঠে যায়। এতে এসব এলাকার বেশির ভাগ বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।

২০ মে থেকে পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করলেও এখনো কিছু এলাকার বাসা-বাড়িতে পানি রয়েছে। এর মধ্যে কয়েক দিন বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ ছিল শাহজালাল উপশহর, কলাপাড়া, মেন্দিবাগ ও মাছিমপুরসহ কয়েকটি এলাকায়। এ অবস্থায় মহানগরীতে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। প্রায় প্রতিদিন রাতেই বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে চুরি হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ