বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসাইন বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ না হলে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ বজায় রাখা সম্ভব হতো না। হিন্দু-মুসলিম উভয় পক্ষ থেকেই প্রতিবাদ সমাবেশ করা হচ্ছে, যা দেশের সার্বিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে ৮টি প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করেন তিনি।
গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের হলরুমে ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের করণীয় কী’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইসমাইল হোসাইন ওই প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের দোসরদের গ্রেপ্তার করতে হবে, মসজিদ-মন্দির-পূজামণ্ডপ-ঈদগাহ উপাসনালয়গুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত চক্র যে গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের প্রত্যেককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনা, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী কোনো সম্প্রদায় অপর সম্প্রদায়ের ধর্ম এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানলে দল-মত নির্বিশেষে তাঁকে আইনের আওতায় আনা, দেশের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে বিএনপি-জামায়াত ও রাজাকারের বংশধরেরা লন্ডন থেকে নির্দেশনা পেয়ে রাজনীতি করে এবং দেশের মানুষের মধ্যে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি পালন করে তাঁদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে।