২০২২ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ৬৮ শতাংশ দখল করেছে ১০টি পণ্য। তার মধ্যে টি-শার্ট, বিভিন্ন ধরনের ট্রাউজার ও জার্সির দখলে আছে মোট রপ্তানির সিংহভাগ বাজার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজিএমইএ জানিয়েছে, গত বছর ৪৫ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির মধ্যে টি-শার্ট, বিভিন্ন ধরনের ট্রাউজার ও জার্সি রপ্তানি থেকে এসেছে ৩০ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।
এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক অতিমাত্রায় ফাস্ট ফ্যাশননির্ভর। বিশ্বে এখন ফাস্ট ফ্যাশনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠছে। রপ্তানিকারকদের উচিত উচ্চমূল্যের পণ্য রপ্তানির দিকে মনোযোগ দেওয়া।
পণ্যভিত্তিক রপ্তানির চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এসেছে টি-শার্ট থেকে। গত বছর এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ শতাংশ এবং মোট রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ দখলে ছিল টি-শার্টের।
টি-শার্টের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় এসেছে পুরুষদের জন্য তৈরি ওভেন ট্রাউজার থেকে। গত বছর বাংলাদেশি রপ্তানিকারকেরা পুরুষের ওভেন ট্রাউজার রপ্তানি করেছে ৫ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা মোট রপ্তানির ১৩ শতাংশ। বিশ্ববাজারে পুরুষের ট্রাউজার রপ্তানিতে বাংলাদেশ ২১ শতাংশ বাজার দখল করে আছে।
রপ্তানির ৮৮ শতাংশ কটনের দখলে
পরিবেশের জন্য সহায়ক ও দামে সস্তার কারণে বিশ্ববাজারে ম্যান মেইড ফাইবারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। তৈরি পোশাক রপ্তানি এখনো কটনকে কেন্দ্র করে ঘুরপাক খাচ্ছে। মোট রপ্তানির ৮৮ শতাংশ এসেছে কটনভিত্তিক পণ্য থেকে। ম্যান মেইড ফাইবার ব্যবহৃত হয়েছে শুধু ১২ শতাংশ।