একসময় মুরগির খামার ছিল মো. বেলাল হোসেনের। সে ব্যবসায় লোকসান হলে তাঁকে পেয়ে বসে ‘কাঁচা টাকা’র লোভ। সেই লোভে পড়ে ২০২১ সালের মে মাসে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেন বেলাল। প্রথমে বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হাত
পাকান বেলাল।
এরপর গত দুই বছরে কখনো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), কখনো পুলিশ সুপার (এসপি), র্যাব সদস্য, কখনো বা আবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-যেখানে যে পরিচয় দরকার সেটি দিয়ে করে গেছেন প্রতারণা। প্রশাসনের বড় বড় কর্তার পরিচয় দিলেও বেলাল হোসেনের লেখাপড়ার দৌড় দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত। কিন্তু শেষমেশ আর রক্ষা মেলেনি তাঁর।
গত বুধবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট এলাকা থেকে সহযোগীসহ বেলালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তার আরেকজন হলেন মো. ওসমান। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বিষয়ে ব্রিফিং করেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
এম এ ইউসুফ জানান, বেলাল হোসেন ২০২১ সালের মে মাসে একটি মুদির দোকানে সয়াবিন তেলের ডিলার সেজে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রতারণা শুরু করেন। নিজেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, এমনকি হাটহাজারীর সংসদ সদস্য পরিচয় দিয়েও বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এভাবে প্রতারণাই তাঁর নেশা ও পেশায় পরিণত হয়। এমনকি এক মাস আগে রাউজান উপজেলায় পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হলে শিশুটির বাবাকে ফোন করে ছেলের ময়নাতদন্ত না করাতে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করেন বেলাল।