টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের নাগরপুর সদর ইউনিয়নের বটতলা বাজারের প্রধান সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। এতে চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা, লেগে থাকে যানজট। ফলে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকলেও নেওয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ। অন্য কোনো জায়গায় অটোরিকশার স্ট্যান্ডটি স্থানান্তর করলে ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কে নাগরপুর উপজেলার বটতলা বাজারের এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে ব্যাটারিচালিত অনেক অটোরিকশা। আরেক পাশে সিএনজিচালিত অটোরিকশার দীর্ঘ সারি। প্রধান সড়কের দুই পাশ দখল করে এভাবে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে।
এ সময় কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা জাকির ও সাইদুরের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, কোনো প্রয়োজনে বাজারে এলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। প্রধান সড়ক দখল করে অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো হয়েছে। গাড়ি ঠিকমতো যেতে পারে না। ফলে যানজট লেগে থাকে। অন্য কোনো ফাঁকা জায়গায় স্ট্যান্ডটি স্থানান্তর করলে ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে মানুষ।
ট্রাকচালক জনি মিয়া বলেন, বটতলা বাজার এলাকার সড়ক দখলের কারণে গাড়ি চলাচলের জায়গা থাকে না বললেই চলে। সব সময় রাস্তার ওপর অটোরিকশা রাখা হয়। বড় কোনো গাড়ি বের হতে পারে না। ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মজিবর ও হাসান এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোজাম্মেল ও আলমগীর বলেন, অটোরিকশার জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই।
বাধ্য হয়েই কখনো সড়কের পাশে, কখনো সড়কের ওপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। তা না হলে যাত্রী পাওয়া যায় না। প্রশাসন নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করলে এই ভোগান্তি হবে না বলে মনে করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে অটোরিকশা, টেম্পো ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের নাগরপুর শাখার সভাপতি মো. সোহাগ মিয়া বলেন, অটোরিকশার জন্য কোনো নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নেই। ফলে সড়কে রাখতে হচ্ছে গাড়ি।
নাগরপুর বাজার কমিটির আহ্বায়ক হাবীবুর রহমান লিটন বলেন, অন্য কোনো ফাঁকা জায়গায় অটোরিকশার স্ট্যান্ডটি স্থানান্তর করলে ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে সাধারণ মানুষ।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এটা চলে আসছে।
তবে পরিকল্পনা আছে বাজার থেকে একটু দূরে অটোরিকশার স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেওয়ার।