ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে রেজাউল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। তবে কি কারণে এবং কারা তাঁকে হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত রেজাউল উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের দিঘারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় ছিলেন দিনমজুর। তাঁর দুই সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম বলেন, ‘রাতে আমি আমার ছেলেদের নিয়ে অন্য একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমার স্বামী পাশের একটি ঘরে ছিলেন। রাতে আমার স্বামীর চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু বাইরে থেকে দরজা আটকানো থাকায় বের হতে পারছিলাম না। তবে বুঝতে পারছিলাম তার ওপরে কেউ হামলা করেছেন।’
নিহতের প্রতিবেশী ও মালিয়াট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় এলাকাবাসীর হইচইয়ে ঘুম ভেঙে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি রেজাউলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যার হাসপাতালে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে রেজাউলের মৃত্যুর পর মালিয়াট ইউপির নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস ও আনারস প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী আজিজুল খাঁ দাবি করেন, রেজাউল তাঁদের সমর্থক ছিলেন। অথচ স্থানীয়দের দাবি, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের একদিন আগে এই হত্যাকাণ্ডের সুফল নিতেই দুই প্রার্থী রেজাউলকে নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করছেন। স্থানীয়দের দাবি, রেজাউল কোনো দলের সমর্থক ছিলেন না।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকৃত ঘটনা বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।