প্রাত্যহিক কর্মক্লান্তি ও দীর্ঘ পরিশ্রমজনিত অবসাদ থেকে হাই আসে। হাই তোলার ক্ষেত্রেও কিছু সুন্নত রয়েছে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। কাজেই তোমাদের কারও যখন হাই আসবে, তখন যথাসম্ভব তা রোধ করবে। কারণ তোমাদের কেউ হাই তোলার সময় যখন হাঁ করে, তখন শয়তান হাসতে থাকে।’ (বুখারি)
হাই তোলা প্রতিরোধ করতে সক্ষম না হলে মুখের ওপর হাত দিতে হবে। কারণ মানবসন্তান হাঁ করলে শয়তান সরাসরি তার মুখে প্রবেশ করতে পারে। এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কারও হাই আসে, সে যেন নিজের হাত মুখের ওপর রাখে। কেননা শয়তান মুখে প্রবেশ করে।’ (মুসলিম)
যদি কারও নামাজ আদায়রত অবস্থায় হাই আসে, তবে যথাসম্ভব তাও প্রতিরোধ করতে হবে। তবে প্রতিরোধ করতে সক্ষম না হলে বাম হাতের তালুর উল্টো দিক মুখের ওপর দিতে হবে। এতে করে শয়তান মুখে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘সালাতের মধ্যে তোমাদের কারও হাই এলে যথাসাধ্য তা আটকে রাখবে। কারণ হাই তোলার সময় শয়তান মুখে ঢুকে যায়।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়