বর্জ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছে দাগনভূঞা পৌর কর্তৃপক্ষ। বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য ইতিমধ্যে একাধিক জায়গা ক্রয় করলেও সেখানে বর্জ্য নিষ্কাশন করতে দিচ্ছেন না পার্শ্ববর্তী জমির মালিকেরা। এতে দাগনভূঞা পৌরসভার সব বর্জ্য যত্রতত্র পড়ে থাকে। ফলে পৌর এলাকার মানুষজন চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দাগনভূঞা পৌর এলাকার কাঁচাবাজারের সম্মুখভাগ, আতাতুর্ক স্কুল মার্কেট, ফাজিলেরঘাট রোড, ফেনী রোড, ডাকবাংলো রোড, চৌধুরীহাট রোডসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট ময়লার স্তূপ। এলাকাবাসীর দাবি, সপ্তাহে এক দিন করে এসব বর্জ্য অপসারণ করা হয়। যে কারণে বাজারের পরিবেশ নষ্ট হয়।
আতাতুর্ক স্কুল মার্কেটের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন জানান, মার্কেটের সামনে ময়লার স্তূপ দীর্ঘদিন জমে থাকায় গন্ধে ব্যবসা-বাণিজ্য করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে বাজার এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। দাগনভূঞা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন লিটন জানান, বাজার এলাকায় ময়লার স্তূপ জমে থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তবে দ্রুত এসব ময়লা অপসারণের দাবি জানানো পরও কোনো কাজ হয়নি।
পৌর মেয়র ওমর ফারুক খান বলেন, ময়লা নিষ্কাশনের জন্য বেশ কয়েকটি জায়গা ক্রয় করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ; কিন্তু সেসব জায়গায় পার্শ্ববর্তী ভূমিমালিকদের বাধার কারণে ময়লা ফেলা যাচ্ছে না। যে কারণে বাজারে ময়লার স্তূপ জমে গেছে।
তিনি আরও জানান, ময়লা ফেলার জন্য থানাসংলগ্ন একটি জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। সেখানে ময়লা ফেলতে গেলে ফারুক নামের এক ব্যক্তি আদালতে মামলা করেন। যে কারণে পৌর কর্তৃপক্ষকে সেখানে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। তবে আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
এর আগে পৌরসভার বর্জ্য অপসারণ করা হতো মাতুভূঞা ইউনিয়নের ব্রিজসংলগ্ন এলাকায়। জায়গাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। চার লেনের কাজ শুরু হওয়ার পর সেই স্থান থেকে ময়লার ভাগাড়টি সরিয়ে নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ।