তীব্র যাত্রীসংকটের কারণে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে লঞ্চে রোটেশন প্রথা ফের শুরু হলো। এ প্রথার কারণে গতকাল বুধবার থেকে মাত্র তিনটি করে লঞ্চ চলেছে এই রুটে।
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল যাত্রী পরিবহন (যাপ) সংস্থার এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এতে যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
যাপ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদের (বীর বিক্রম) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বুধবার থেকে ৬টি গ্রুপে ভাগ হয়ে রোটেশন পদ্ধতিতে লঞ্চ চালানো হবে। এতে প্রতিদিন এক প্রান্ত থেকে ৩টি লঞ্চ যাত্রী পরিবহনে থাকবে।
সভায় নেওয়া অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে-ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ ভোর ৫টার মধ্যে বরিশাল নদীবন্দরে পৌঁছাবে এবং বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ৬টার মধ্যে।
লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রী সংকট দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, এরপর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এই সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জ্বালানি তেল ইস্যুতে ভাড়া বাড়ানোর ফলে কেবিনের যাত্রী আরও কমছে। তাই সংকট কাটাতে নতুন করে রোটেশন প্রথা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু এ ব্যপারে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই রোটেশন প্রথা এক সময় প্রয়াত মেয়র হিরন আন্দোলন করে বাতিল করছিলেন। সে প্রথা ফের ফিরে আসায় এখন যাত্রীকে বাধ্য হতে হবে নির্দিষ্ট লঞ্চে এবং নির্দিষ্ট ভাড়ায় যেতে। এতে যাত্রীদের স্বাধীনতা খর্ব হবে।