চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভার মেয়র, দুই কাউন্সিলর, সার্ভেয়ার, স্কুল শিক্ষকসহ ২৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গোমস্তাপুর উপজেলার প্রসাদপুরের নাজমা বেগম নামে এক নারীর করা মামলায় তাঁরা কারাগারে গেছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির এ আদেশ দেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের আদালত পরিদর্শক মো. শহিদুল্লাহ।
নাজমা বেগম গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর, ইট-রড চুরি ও গুরুতর জখমের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। নাজমা বেগম গোমস্তাপুর উপজেলার নুনগোলা প্রসাদপুরের মৃত আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী।
এই মামলায় রহনপুর পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান খান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম মুন্না, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাদিকুল ইসলাম, পৌরসভার সার্ভেয়ার বারিউল ইসলাম, প্রসাদপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকবর আলীসহ ২৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর মেয়র মতিউর রহমান খানের নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন দুষ্কৃতকারী নাজমার বাড়ির ইটের প্রাচীর ভেঙে ফেলেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে নাজমার ছেলে নাজমুল ফেরদৌস গুরুতর আহত হন। দুষ্কৃতকারীরা মেয়রের হুকুমে ট্রাকে করে ইট-রড চুরি করে নিয়ে যান। এতে বাদীপক্ষের প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়।
এ ঘটনায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর নাজমা বাদী হয়ে মেয়র মতিউর রহমানকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ আমলি আদালত গোমস্তাপুরে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গোস্তাপুরের সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্তের নির্দেশ দেন। একই বছরের ১৪ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহরিয়ার নজির।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর, ইট-রড চুরি ও গুরুতর জখমের অভিযোগে মেয়র মতিউরসহ ২৬ জনের নামে মামলা করেন নাজমা বেগম। আসামিরা মীমাংসার শর্তে গতকাল সোমবার পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। বাদীর মালামালগুলো ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তবে আদালতের নির্দেশ তাঁরা মানেননি। আদালতের আদেশ অমান্য করায় বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।