জিম্বাবুয়ে সফর থেকে আগেই ছুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এই সফরের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বিশ্রামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। দলের নিয়মিত তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে হারারেতে গতকাল প্রথম দিনের অনুশীলনে বেশ ফুরফুরেই ছিলেন নুরুল হাসান সোহান-আফিফ হোসেন ধ্রুবরা।
অনুশীলন শেষ আফিফ জানিয়েছেন, তাঁরা সব ম্যাচই জিততে চান। দলে নিয়মিত থাকা সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছাড়া এবারই প্রথম কোনো সিরিজ খেলতে যাচ্ছেন তাসকিন-মিরাজ-আফিফরা। ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া দলে এখন এমন ছবি স্বাভাবিক হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু ব্যতিক্রম। আর সে কারণেই এটা নিয়ে এত আলোচনা। তবে আগামী চার বছরে এ ধরনের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে নিয়মিতই পড়তে হতে পারে।
আইসিসির সর্বশেষ বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ভবিষ্যৎ সফরসূচির (এফটিপি) খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। জানা গেছে, এফটিপিতে আগামী চার বছরে ১৪৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারে বাংলাদেশ। ৩৪টির বেশি টেস্ট ও ৫৯টির মতো ওয়ানডে খেলবে তারা। বছরে গড়ে খেলতে হবে ৩৫টির বেশি ম্যাচ। আছে আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্ট। আগামী ব্যস্ত এফটিপিতে ধারাবাহিক ভালো করতে হলে জাতীয় দলে খেলোয়াড় সরবরাহও ভালো থাকা জরুরি। নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল থাকা মানে চোটাঘাত, ছন্দ হারিয়ে ফেলা, বিশ্রাম বা অন্য যেকোনো কারণে তাঁরা দলের বাইরে গেলেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দলে।বর্তমানে ঘুরেফিরে ২০-২৫ ক্রিকেটারের একটা ‘পুল’ ব্যবহার করছেন নির্বাচকরা। গত দেড় বছরে ৬৮টি
নিয়মিত খেলোয়াড়দের বিকল্প হিসেবে ভালো মানের ক্রিকেটারের সংকট থাকায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) কিংবা অনূর্ধ্ব-১৯ শেষ করা ক্রিকেটারদের সরাসরি জাতীয় দলে আনতে হচ্ছে। এতে বয়সভিত্তিক সিঁড়ি পেরিয়েই জাতীয় দলে এসে খাবি খাচ্ছেন অনেক উদীয়মান ক্রিকেটাররা। গতকাল বিসিবি নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, একেবারে নতুন খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে সুযোগ না দিয়ে আগে ‘এ’ দলে দেখা গেলে ভালো হয়।
রাজ্জাকের সঙ্গে মিলে গেল জালাল ইউনুসের কথাও। তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের জন্য আমাদের আরও কিছু খেলোয়াড় দরকার। তাদের (এ দলকে) বলছিলাম, “এ” দলে যারা আছে, তারা মাত্র জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছে অথবা দলে আসবে।’
ব্যস্ত সূচিতে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম কিংবা চোট সমস্যা এড়াতে পাইপলাইন শক্ত করার বার্তা দিয়েছেন জালাল, ‘জাতীয় দলের বিকল্প খেলোয়াড় “এ” দল থেকে আসবে। অনূর্ধ্ব-১৯ বা এইচপি দলের ক্রিকেটাররা “এ” দলে খেলবে। নিয়মিত “এ” দলকে দেশে ও দেশের বাইরে খেলাতে পারলে আমরা ভালো বিকল্প খেলোয়াড় পাব।’