পাইকগাছা থেকে বটিয়াঘাটা হয়ে খুলনা যাওয়ার বিকল্প রাস্তার কিছু অংশ কাঁচা ও কিছু অংশ ইটের সোলিং দিয়ে নির্মিত। সেটিও ধীরে ধীরে হয়ে পড়েছে চলাচলের অনুপযোগী। এ রাস্তাটি পাকা হলে পাইকগাছা থেকে খুলনা যাওয়ার দূরত্ব কমবে ২৫ কিলোমিটার। এতে সময় ও অর্থের পাশাপাশি জনদুর্ভোগ কমবে। আর এ কারণে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকগাছা থেকে চুকনগর হয়ে খুলনায় পৌঁছতে ৬৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এর মধ্যে সড়কের সংস্কারের কাজ চলমান থাকায় ভাঙাচোরা রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগে ৩/৪ ঘণ্টা। এ বেহাল সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই যানবাহনের যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে পড়ছে। এতে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কিন্তু পাইকগাছার দারুণ মল্লিক থেকে ফুলবাড়ী পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের মধ্যে তিন কিলোমিটার ইটের ও পাঁচ কিলোমিটার কাঁচা। সড়কের এ অংশটুকু পিচ ঢালাই করা হলে জেলা সদরের সঙ্গে পাইকগাছ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার কমে যাবে। খুলনা শহরের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বর্তমানে অনেকেই এ পথটি ব্যবহার করছেন। কারণ এ পথে মাত্র ১-দেড় ঘণ্টায় শহরে পৌঁছানো যায়।
পাইকগাছা পৌরসভার আশরাফুল ইসলাম রাবু নামে এক যুবক জানান, ফুলবাড়ী-বটিয়াঘাটা হয়ে খুলনা সড়কটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে খুলনা জেলা সদরের সঙ্গে পাইকগাছার যোগাযোগের উন্নতি হবে।
কয়রার ব্যবসায়ী মাওলা বক্স বলেন, ‘সড়কটি চালু হলে কয়রার মানুষেরও খুলনার সঙ্গে যাতায়াত সহজ হবে।’
দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘ইতিমধ্যে দারুনমল্লিক খেয়াঘাট থেকে ১ কিলোমিটার পিচের রাস্তা, এবং বাকি ৭ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হলে জেলা শহরের সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে যাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বটিয়াঘাটা-পাইকগাছা উপজেলার সংযোগস্থল ফুলবাড়ী খেয়াঘাট সংলগ্ন রায়পুর মরাভদ্রা নদীর মুখে একটা গেট করার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রীর কাছে একটি দরখাস্ত পাঠানো হয়েছে।’
পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর বলেন, ‘পাইকগাছার উন্নয়নে এলাকাবাসীর ২১ দফার মধ্যে অন্যতম দাবি হচ্ছে সোলাদানা-বটিয়াঘাটা-খুলনা সড়কটি পাকাকরণ। ওই সড়কটি চালু হলে খুলনা শহরের সঙ্গে আমাদের ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে।’