সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধে মাটির পরিবর্তে বালু দিয়ে বাঁধ তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই প্রকল্পের কাজ গতকাল বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রমতে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের নদীর তীরের ২৭ নম্বর প্রকল্পের ৪৯০ মিটার বাঁধের কাজ প্রায় অর্ধেক শেষ। এই বাঁধের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৯২৮ টাকা। এই বাঁধে ৭ হাজার ২৭২ দশমিক ৪৫ ঘনমিটার মাটি ফেলা হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, ওই বাঁধের বেশির ভাগ স্থানে বালু। পাশের রামপুর এলাকার একটি জায়গা থেকে এস্ককাভেটরের সাহায্যে বালু তুলে বাঁধে ফেলা হচ্ছে।
এদিকে ভারতের মেঘালয় সীমান্তের কাছাকাছি এই বাঁধ নির্মাণের এমন অবস্থা দেখে শঙ্কিত কৃষক ও স্থানীয়রা। কারণ মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত হলে চলতি নদীর এই বাঁধে পানি চলে আসে। বালু দিয়ে তৈরি বাঁধটি কতটা মজবুত হবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল হক মিলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে সবটুকুই বালু। যেভাবে বালু দিয়ে বাঁধ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ নীতিমালা বহির্ভূত। এভাবে বাঁধ করা হলে হাওরের ফসলরক্ষা করা যাবে না।
২৭ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমরা যে বাঁধ করছি তা নষ্ট হবে না। এখানে শুধু মাটি নাই তাই বালুমাটি দিয়েই বাঁধ করছি।’ তবে এই বাঁধ নষ্ট হবে না বলেও জানান তিনি।
বাঁধে মাটির পরিবর্তে বালু দেওয়ার বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, ‘বাঁধে বালু দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগে বাঁধের কাজ বন্ধ রেখেছি। কারিগরি দল পরিদর্শনে যাবে। বাঁধের কাজ বালু দিয়ে করলে আমরা তা মেনে নিব না।’
সুনামগঞ্জ পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী-১ জহুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাঁধের কাজে অনিয়ম পেলে আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখব। অভিযোগের সত্যতা পেলে বিল আটকে দেওয়া হবে।