খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে সরকারি পশু চিকিৎসকের অভাবে হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছে খামারিরা। উপজেলার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে জনবল সংকটের কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষিনির্ভর উপজেলার আশি ভাগ মানুষ কৃষিজীবী। এ ছাড়া গত এক দশকে এখানে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশত গো-খামার।
এদিকে উপজেলার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় খামারিদের বেগ পেতে হচ্ছে। প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে মোট জনবল ১০টি পদের বিপরীতে এখানে কর্মরত আছেন অফিস সহকারীসহ ৫ জন। তৃণমূলে দুই চিকিৎসক দিয়ে অর্ধশত গো-খামারে চিকিৎসার কিছুই পূরণ হয় না! ফলে এলাকায় অদক্ষ হাতুড়ে চিকিৎসকের পদচারণা বেড়েছে অনেক গুন!
সম্প্রতি ডাইনছড়ির ক্ষুদ্র খামারি জমিলা বেগমের খামারে মাঝারি দুইটি ষাঁড় হাতুড়ে চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় মারা যায়। এর আগে আল-আশরাফ ডেইরি অ্যান্ড এগ্রো ফার্মেও অপচিকিৎসায় একটি গরু মারা গিয়েছিল!
জমিলার অভিযোগ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না মাহমুদের কাছে। ইউএনওর নির্দেশে তদন্তে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম মোহন অপচিকিৎসার সত্যতা পান। পরে সামাজিক সালিসে হাতুড়ে চিকিৎসক মো. আবদুল মমিনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সূচয়ন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জনবল সংকটের বিষয়টি অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। আমরা সাধ্য অনুযায়ী খামারিদের পাশে থাকার চেষ্টা করি।’