হোম > ছাপা সংস্করণ

‘কম্বল পাইলে জার যাইত’

পীরগঞ্জ প্রতিনিধি

‘জারোত বুজি বাঁচি না। পোত্যেকবার জারোত কষ্ট করি কোঁকড়া হয়া আত কাটাই। বয়সের কারণে শরীলটাও চলে না। বউ কাম করি সংসার চলায়। দুটা ছোট বেটি নিয়া সংসার চলা মুশকিল হোচে। এক্যান কম্বল পাইলে জার যাইত।’

কথাগুলো বলছিলেন বৃদ্ধ হামিদ মিয়া। পীরগঞ্জ পৌরসভার ধনশালা উত্তরপাড়ায় বালুয়াহাটগামী রাস্তার ধারে মামার দেওয়া জমিতে ঝুপড়ি ঘরে বাস তাঁর। সেখানে সরকারি খাস জমিতে আরও প্রায় ২০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাঁদের কারও ভাগ্যে এবার এখনো কম্বল জোটেনি।

হামিদ জানান, তাঁর বয়স প্রায় ৬৭ বছর। স্ত্রী আর দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার। শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ায় আর রোজগার নেই তাঁর। স্ত্রী শোভা বেগমের আয়ে চলে সংসার। টাকা না থাকায় ঘরে টিনের চালা দিতে পারছেন না। এমন অবস্থায় শীত এসে তাঁদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

পীরগঞ্জসহ উত্তর জনপদে এখন চলছে তীব্র শীত। হামিদের মতো হাজারো নিম্ন-আয়ের মানুষ ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন। সরকারিভাবে শীতার্তদের জন্য কম্বল আসলেও এখনো হামিদ ও তাঁর প্রতিবেশীদের কেউ তা পাননি। সেই সঙ্গে বেসরকারি উদ্যোগেও শীতবস্ত্র বিতরণ তেমন শুরু হয়নি।

বালুয়াহাট মোড়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বিক্রি করেন শাহানুরী বেগম। তিনি বলেন, ‘রাস্তার ধারে একটা ঘর করে এক বেটি আর ব্যাটাক নিয়া থাকো। এই জারোত কষ্ট করি রাত পার করি। দুটা কম্বল দিয়া তিনজনে ঘুম পাড়ি। আর একটা কম্বল হলে ভালো হতো।’

উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মেরাজুল বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫০টি কম্বল দিয়েছি। তবে এখন যে শীত চলছে, সে অনুযায়ী দানশীল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এখনো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর এখনই উত্তম সময়। কারণ এখন প্রচণ্ড শীত চলছে। তাই সমাজের বিত্তবানদের দরিদ্র শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ