নাটোরের বড়াইগ্রামে ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ নিয়ে উৎকণ্ঠায় ভোটারেরা। গতকাল সোমবার সকালে জোনাইল ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আবুল কালাম আজাদ উপজেলার জোনাইল ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার দিঘইর গ্রামের বাসিন্দা। ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জোনাইল ইউপি আওয়ামী লীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন, সদস্য আসাদুজ্জাম, আবু হেলাল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, তৃণমূলের চাপে তিনি ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করছেন। প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। তাঁর পোলিং এজেন্ট দিতে নিষেধ করা হচ্ছে। যার ফলে তাঁর ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে উৎকণ্ঠা ও সংশয় কাজ করছে। তিনি চান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তাতে তিনি পরাজিত হলেও কোনো আপত্তি থাকবে না।
উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হেলাল বলেন, ‘গত বুধবার রাতে ইউনিয়নের দ্বাড়িকুশি শান্তিপাড়া এলাকায় ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর ছেলে সোহেল রানা কয়েকজনকে নিয়ে গণসংযোগ করছিলেন। নৌকার প্রার্থী তোজাম্মেল হকের সঙ্গী আরিফ হোসেন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সেখানে মিছিল করতে থাকেন। যার অডিও রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। তিনি (সোহেল রানা) নিরাপত্তাহীনতায় তাঁর সমর্থিত লোকজনকে খবর দিলে তাঁকে উদ্ধার করতে আমিসহ শতাধিক লোকজন সেখানে যাই। আমি বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক নজরুল ইসলামকে ফোন করে বিষয়টি জানাই।’
আবু হেলাল আরও বলেন, রানীর বাজার থেকে শান্তিপাড়া মোড়ে পাকা রাস্তা আছে। সেই রাস্তা ব্যবহার না করে ইন্দ্রাপাড়ায় পুলিশ অবস্থান নেয়। সেই রাস্তা থেকে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করে আমাদের ১০ জনের নামে মিথ্যা মামলা দেয়।
জোনাইল ইউপি আওয়ামী লীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন মাহতাব উদ্দিন বলেন, গত ১৬ অক্টোবর বড়াইগ্রাম থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ইউনিয়নের কচুগাড়ী গ্রামে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকের ভোট চান। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি কাউকেই হুমকি দিচ্ছি না। তাঁরা নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে এখন মিথ্যা অভিযোগ করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার কণ্ডু বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে। পুলিশ প্রশাসন বিজিবি ও র্যাব কাজ করবে। ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। আমাদের জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’