কখনো তিনি পরিচয় দিতেন সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের এপিএস হিসেবে। কখনো নিরাপত্তাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে জাহির করতেন নিজেকে। মূলত তিনি একজন প্রতারক। ভুয়া পরিচয় দিয়ে মানুষকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। তার ফাঁদে পড়ে এরই মধ্যে প্রতারিত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি নামে ওই প্রতারক।
গত বুধবার তেজগাঁও থেকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল তাঁকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে প্রতারক চন্দ্রশেখরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, নিজের ভাগনেকে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে গত ২০ জানুয়ারি অধ্যক্ষকে ফোন দিয়ে চাপ প্রয়োগ করেন চন্দ্রশেখর। ওই কলেজের পক্ষ থেকে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করা হয়। এরপর তেজগাঁওয়ের নাজনীনবাগ এলাকা থেকে চন্দ্রশেখরকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র জব্দ করা হয়। গতকাল আদালতে হাজির করে তাঁর ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত তা নামঞ্জুর করে চন্দ্রশেখরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।