হোম > ছাপা সংস্করণ

বাজারে আগুন ও ‘হোল্ড অন’

সম্পাদকীয়

‘হোল্ড অন’—ইংরেজিতে বলা এই শব্দ দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কিছুদিন আগে। এই শব্দ দুটি উচ্চারণ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে খানিক অপেক্ষা করতে বলেছিলেন এক ব্যবসায়ী। এরপর তাঁদের মধ্যে মৃদু যে বাদানুবাদ হয়, তাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মানুষ দুভাগে ভাগ হয়ে যায়। কেউ বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটকে ‘হোল্ড অন’ বলা যায় না। কেউ বলেন, এটা এমন কোনো কথা নয় যে এভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের রেগে উঠতে হবে। তরুণ ম্যাজিস্ট্রেট আর বর্ষীয়ান ব্যবসায়ীর এই বাদানুবাদে যে ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়েছে, সেটি হলো, বেশির ভাগ মানুষই এই অভিযানের বিষয়বস্তুটিই ভুলে গেছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটির নামে উচ্চমূল্যে এলাচ বিক্রির যে অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে আর ভাবা হয়নি। ‘হোল্ড অন’-এ এসে থেমে গেছে মূল ঘটনা।

মূল ঘটনা হলো, দেশের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করার সময় দেখতে পাওয়া যায়, ১ হাজার ৪৫০ টাকা আমদানি খরচ পড়লেও সেই ব্যবসায়ী এলাচ বিক্রি করছিলেন ৩ হাজার ১০০ টাকা দরে। এ রকম অবিশ্বাস্য লাভ করা যায় কি যায় না, তা নিয়ে আলোচনা এগোয়নি। আলোচনা হয়েছে ‘হোল্ড অন’ নিয়ে। আমরা যে সুযোগ পেলেই অন্যকে নৈতিকতার শিক্ষা দিতে থাকি আর তার ফাঁক দিয়ে নিজের সর্বনাশ হয়ে যায়—এ ব্যাপারটি খেয়াল রাখি না।

রমজান আর অভিযান এখন যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে; অর্থাৎ রমজান মাসে কারণে-অকারণে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন। সংযমের কথা নানাভাবে বলা হলেও, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মনে তা খুব একটা রেখাপাত করে না। এই সিয়াম সাধনার মাসে দুর্নীতি কমে যায়—এমন কোনো প্রমাণ কি কেউ হাজির করতে পেরেছেন? সাধারণ মানুষ যখন সংসার চালাতে হিমশিম খায়, তখন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয় কিছু অসংযমী মানুষ। বাজারে অভিযানের মাধ্যমে যা করা হয়, তাতে মূলত লাভবান হয় মিডিয়া। সংবাদপত্র বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তরুণ প্রতিবেদক খুবই আয়েশ করে অভিযান পরিচালনার কথা বলতে থাকেন। কাকে কত জরিমানা করা হয়েছে, সে কথা জানতে পারে মানুষ। তাতে সাময়িক একটা তৃপ্তি হয়তো আসে মনে, কিন্তু তাতে বাজারে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক হয়ে যায় না। অভিযান চলার পরের দিন থেকেই আবার দামের ঘোড়াটি লাগামছাড়া হতে থাকে।

এই অভিযান শুধু রমজান মাসে হবে কেন? কিংবা শুধু পেঁয়াজ, গরুর মাংস ইত্যাদির দাম বাড়ার পরই হবে কেন? এমন একটা বাজার ব্যবস্থাপনা তো থাকতে হবে, যাতে ভোক্তা জানতে পারে, নিয়মিত যা কিনতে হয়, তার দাম হঠাৎ করে আকাশচুম্বী হবে না! সেই নিশ্চয়তা দেওয়াটাই আসলে সরকারের কাজ। আমরা তা পাই না।

আর ‘হোল্ড অন’-পরবর্তী যে ঘটনা, তার সঙ্গে রুচিবোধের যে প্রশ্নটি আছে, সেটা পারিবারিক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং শিষ্টাচারের সঙ্গে যুক্ত। সে অন্য আলোচনা, এখানে নয়।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ