হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিন কেজি স্বর্ণসহ রাকিবুল হাসান ও এম এইচ শিবলী নামের দুই যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বিমানবন্দরে গ্রিন চ্যানেল থেকে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে রাকিবুল হাসান ও অভ্যন্তরীণ অ্যারাইভাল হল থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এম এইচ শিবলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আব্দুর রউফ জানান, দুবাই থেকে দুটি পৃথক ফ্লাইটে এসব স্বর্ণের চোরাচালান ঢাকায় আসে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুবাই থেকে আসা রাকিবুল হাসান ও সিলেট থেকে আসা অভ্যন্তরীণ যাত্রী এম এইচ শিবলীকে প্রায় তিন কেজি স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ড. আব্দুর রউফ বলেন, দুবাই থেকে বিজি-০১৪৮ ফ্লাইটে বিমানবন্দরে আসা রাকিবুল হাসানকে গ্রিন চ্যানেল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের ৮৫৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকালে তাঁর প্যান্টের ওয়েস্ট বেল্ট থেকে ৫২৫ গ্রাম ওজনের পেস্ট সদৃশ স্বর্ণ, ২৩২ গ্রাম ওজনের দুইটি স্বর্ণ বার ও ৯৮ গ্রাম ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।
অপরদিকে দুবাই থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-০২৪৮ ফ্লাইটে শুক্রবার বিমানবন্দরে আসেন অভ্যন্তরীণ যাত্রী এম এইচ শিবলী। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ অ্যারাইভাল হল থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকালে তার ছোট কাগজের ব্যাগে কালো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দুটি বান্ডেলে ২ কেজি ৯৭ গ্রাম ওজনের ১৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণের বাজার দর ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।
ডিজি আব্দুর রউফ বলেন, দুবাই থেকে এক যাত্রী স্বর্ণের চালানটি নিয়ে আসেন। সিলেট বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের পর অভ্যন্তরীণ যাত্রী হিসেবে এম এইচ শিবলী ওই ফ্লাইটে ওঠেন। পরবর্তী সময়ে দুবাই থেকে আগত যাত্রীর কাছ থেকে অভ্যন্তরীণ যাত্রী শিবলীর কাছে স্বর্ণের চালানটি হস্তান্তর করা হয়।
পৃথক দুটি স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় দুটি ফৌজদারি মামলা করে গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত স্বর্ণ ঢাকা কাস্টম হাউসের গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।