নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে হামলা ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে গতকাল রোববার বিকেলে কলমাকান্দা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নৌকার প্রার্থী এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান। উপজেলার খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে এই হামলার জন্য দায়ী করেন তিনি।
ওই ইউপিতে নৌকার প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক ভূঁইয়া এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক চান মিয়া দেওয়ানি। দলীয় নির্দেশ না মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গত শনিবার দল থেকে সিরাজুল হকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বলেন, গত শনিবার রাতে কর্মী-সমর্থকেরা উপজেলার সন্দুরীঘাট স্কুলমাঠে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওবায়দুল হক ভূঁইয়া ও সিরাজুল হকের লোকজন একত্র হয়ে হঠাৎ করেই হামলা চালান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের এক কর্মীর মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী ওবায়দুল হক ও সিরাজুল হক একত্র হয়ে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। নৌকার সমর্থক ও কর্মীদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। এ ব্যাপারে তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে ওবায়দুল হক ভূঁইয়া হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওবায়দুল হক বলেন, ‘আমার কোনো কর্মী-সমর্থক কারও ওপর হামলা করেনি। এমনকি কারও মোটরসাইকেলে আগুন দেয়নি। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। উল্টো নৌকার সমর্থকেরা আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। প্রচারে বাধা দিচ্ছে।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বহিষ্কৃত নেতা সিরাজুল হক চান মিয়া দেওয়ানির সঙ্গে। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আহাদ খান বলেন, ‘গত শনিবার রাতে হামলার খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’