সাতক্ষীরার দেবহাটায় শিশুসন্তানের সামনে শিল্পী খাতুন (৩০) নামের এক নারী ও তাঁর বৃদ্ধা মাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার উত্তর সখিপুরে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘবদ্ধ এ মারধর গুরুতর আহত শিল্পী খাতুন বর্তমানে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, বাবা না থাকায় স্বামী পরিত্যক্তা শিল্পী খাতুন তাঁর বৃদ্ধ মা ও শিশুকন্যাকে নিয়ে বাবার কুঁড়েঘরে থাকতেন। ছয় মাস আগে শিল্পীকে বিয়ে করেন চাল ব্যবসায়ী হারান গাজী। বিয়ের পর শিল্পীকে ঘরে না তুলে, শিল্পীর বাবার বাড়িতেই যাতায়াত ও রাত্রিযাপন করতেন হারান। কিছুদিন আগে পরিবারের চাপে পড়ে হারান শিল্পীকে তালাক দেন। সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধ্যায় হারান শিল্পীর ঘরে প্রবেশ করলে তাঁর মা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যকে খবর দেন। কিন্তু তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই হারানকে ছিনিয়ে নিতে লাঠিসোঁটা নিয়ে শিল্পীর বাড়িতে হামলা চালায় তাঁর প্রথম স্ত্রী রেশমা খাতুন, ছেলে রিপন হোসেন, বাবুর ছেলে মনিরুল ও শহিদুল ইসলাম, মনিরুলের স্ত্রী, জহুর আলীর স্ত্রী, আনারুলের স্ত্রীসহ কমপক্ষে ২০ জন নারী-পুরুষ। হামলাকারীরা ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে ঘরে শিল্পীকে তাঁর শিশু সন্তানের সামনে ফেলে মেরে জখম করে এবং আটক হারান গাজীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আহত শিল্পীর মাথায় অন্তত পাঁচটি সেলাইসহ সারা শরীরে মারধরের চিহ্ন রয়েছে রয়েছে বলে জানিয়েছে দায়িত্বরত চিকিৎসক। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিল্পী খাতুনের জবানবন্দি নিয়েছে থানা-পুলিশ।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় শিল্পী খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’