চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টিপাতে পাকা আমন ধান, রবি শাকসবজি, ডাল ও তেলজাতীয় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি পানিতে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের বেশির ভাগ জমিতে পানি জমে থাকায় কাটা আমন ধান উঁচু স্থানে নিয়ে শুকানোর চেষ্টা করছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, বৃষ্টিতে হাটহাজারী আলমপুর গ্রাম, চন্দ্রপুর গ্রাম, আলীপুর গ্রাম, মোহাম্মদপুর গ্রাম মিরের খিল ও উপজেলার ফরহাদাবাদ, ধলই, মির্জাপুর, গুমানমর্দ্দন, ছিপাতলী, নাঙ্গলমোড়া, মেখল, গড়দুয়ারা, উত্তর মাদার্শা, দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নে ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
মির্জাপুর ও মেখল ইউনিয়নে বর্গাচাষি আব্দুল মতলব, নুর মোহাম্মদ, আনুমিয়া বলেন, ‘জমিতে কাটা ধান পড়ে আছে। শ্রমিক না পাওয়ায় ধান ঘরে তুলতে পারছি না। ধান ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।’
গত বুধবার কথা হয় হাটহাজারী পৌরসভার আলমপুর গ্রামের কৃষক মোজাহেরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি এবার পাঁচ কানি জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। দুই কানি জমির ধান ঘরে তুলেছি। তবে তিন কানি কাটা ধান জমিতে পড়ে রয়েছে। বৃষ্টিতে কাটা ধান পানিতে ডুবে গেছে। ধান নিয়ে বিপাকে রয়েছি। আমার অনেক টাকা ক্ষতি হবে।’
হাটহাজারী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘এবার হাটহাজারীতে ২৩ হাজার ৯৫ একর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হওয়ার আশা করা হচ্ছিল। তবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে বৃষ্টিতে ১৪৮ একর জমির ধান, রবি শাকসবজি ১১২ একর, ডাল জাতীয় ফসল ১৩ একর, তেল জাতীয় ১০ একর জমির ফসল ক্ষতি হয়েছে। শ্রমিকসংকটের কারণে কৃষকেরা সময়মতো আমন ধান ঘরে তুলতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মামুন শিকদার বলেন, ‘এবার আমন ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে বৃষ্টি হওয়ায় চাষিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি না হলে এবার চাষিরা আরও বেশি লাভবান হতেন।’ তিনি ক্ষতি পোষাতে চাষিদের সব ধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দেন।