৩৩ বছর পর দেখা হলো সহপাঠীদের। টগবগে যৌবন পেরিয়ে অনেকেই এখন প্রৌঢ় বয়সে পড়েছেন। কিন্তু এত দিনেও বন্ধুত্ব যেন এতটুকু ম্লান হয়নি তাঁদের।
গতকাল শুক্রবার সরকারি বিএম কলেজ ক্যাম্পাসের মিলনমেলায় এমনই প্রাণোচ্ছ্বাস দেখা গেছে একদল সাবেক শিক্ষার্থীর মধ্যে। তাঁরা কলেজের বাংলা বিভাগের ১৯৮৩–৮৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রছাত্রী। নগরীর কাউনিয়া নীলু–মনু ট্রাস্ট ও পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পিরোজপুরের একটি কলেজের শিক্ষক কামরুন্নাহার রুবি। বরগুনার বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা স্বপন কুমার সরকার একজন স্কুলশিক্ষক। দুই জেলার বাসিন্দা দুজনের পরিচয় হয়েছিল দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিএম কলেজে। ৫–৭ বছরের শিক্ষাজীবন শেষে আবার হারিয়ে যান তাঁরা। ৩৩ বছর পর গতকাল আবার দেখা হলো কামরুন্নাহার রুবি ও স্বপন কুমারের।
বিএম কলেজের বাংলা বিভাগের ১৯৮৪ সম্মান ব্যাচের শিক্ষার্থী রুবি–স্বপনের মতো অনেকেই ৩৩ বছর পরে গতকাল একসময়ের সহপাঠীকে খুঁজে পেলেন। এরই মধ্যে দাদা–দাদি, নানা–নানি হয়েছেন অনেকে। তিন দশক পর সহপাঠী একে অপরকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তারা। বাংলা বিভাগের ৮৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মিলনমেলায় দিনভর একত্রে কাটিয়েছেন যৌবন বয়সের মতোই। করেছেন স্মৃতিচারণ। ঘুরে দেখেছেন স্মৃতিবিজড়িত প্রিয় ক্যাম্পাস।
৮৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী পটুয়াখালী শহরের বাসিন্দা মুফতি সালাহউদ্দিন বলেন, ‘গতকাল মিলনমেলায় এসে কমপক্ষে এক ডজন সহপাঠীর সঙ্গে ৩৩ বছর পর দেখা হয়েছে। তাঁরা দেখেই জিজ্ঞেস করে–বন্ধু এত দিন কোথায় ছিলি, কেমন ছিলি, ছেলেমেয়ে, নাতি–নাতনি কজন?’