হোম > ছাপা সংস্করণ

হারের কারণ খুঁজছেন প্রার্থীরা

অরূপ রায়, সাভার থেকে

সাভারের পাশাপাশি দুটি ইউনিয়ন বিরুলিয়া ও আশুলিয়া। গত বুধবার অনুষ্ঠিত পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হলেও পাশের বিরুলিয়া ইউপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

আশুলিয়া থেকে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য শাহাব উদ্দিন। বিরুলিয়ায় বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সেলিম মণ্ডল। বিরুলিয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে পরাজিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান সুজন।

পাশাপাশি দুটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের জয় ও পরাজয়কে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারার সুযোগ পাওয়া না-পাওয়াকে দায়ী করছেন পরাজিত প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা।

তাঁরা মনে করেন, কর্মীরা ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারার সুযোগ পাওয়ায় আশুলিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয় হয়েছে। আর বিরুলিয়ায় ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারার সুযোগ না পেয়ে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

বিরুলিয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পরাজয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়কে ভালো চোখে দেখছেন না সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা। এদিকে ভোটের দিন আশুলিয়া ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে হতাশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

ভোটের দিন সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়া ইউনিয়নের আশুলিয়া স্কুল কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনেই প্রার্থীদের কর্মীরা ব্যালট পেপারে নৌকা ও বল প্রতীকে সিল মারেন। ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী লেহাজ উদ্দিন তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ সিল মারার কথা স্বীকার করেন।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ও সমর্থকেরা একই কেন্দ্রের ২ নম্বর ভোটকক্ষে ঢুকে ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারেন। ওই কক্ষের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আলী আকবর এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পাশের আশুলিয়া কলেজ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারার অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, প্রমাণ ও অভিযোগ থাকার পরও ওই সব কেন্দ্রের ভোট বাতিলসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তবে বিরুলিয়ায় প্রশাসন ছিল ব্যতিক্রম। এই ইউপির কাকাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইদুর রহমান সুজনকে আটক করা হয়। পরে তাঁর কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পাশের ভবানিপুর স্কুল কেন্দ্রে সিল মারতে গিয়ে জনতার তোপের মুখে পড়েন সাইদুর রহমান সুজন। জনতার তাড়া খেয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কক্ষে আশ্রয় নিলে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েও পাননি তিনি। অবশেষে সুজন জানালা ভেঙে পালিয়ে যান।

আশুলিয়া ইউনিয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজু আহম্মেদ অভিযোগ করে বলেন, ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারার সুযোগ পাওয়ায় ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হেলাল উদ্দিন।

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহাব উদ্দিন বলেন, জনতার ভোটে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে জোর করে সিল মারার ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে বিরুলিয়ায় পরাজিত নৌকার প্রার্থী সাইদুর রহমান সুজন বলেন, ‘আমার বিজয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু মেকানিজম করে আমাকে হারানো হয়েছে।’ তবে কারা মেকানিজম করেছেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে বিজয়ী প্রার্থী সেলিম মণ্ডল বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হওয়ার সুবাদেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও তিনি বিজয়ী হয়েছেন।

পাশাপাশি দুটি ইউনিয়নের একটিতে নৌকার জয়, অপরটিতে পরাজয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসিনা দৌলা বলেন, ‘কারণ সবারই জানা। বিরুলিয়া ইউনিয়ন থেকে সুজনের বের হয়ে আসার (পাস করার) কথা ছিল। সেখানে কী হলো না-হলো, বলতে পারছি না। যিনি (সেলিম) চেয়ারম্যান হয়েছেন, তিনি আমাদের দল ও বিরুলিয়াবাসীর জন্য ভালো হবেন না।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ