হোম > ছাপা সংস্করণ

যেভাবে চাকরির ইন্টারভিউর প্রস্তুতি নেবেন

মুসাররাত আবির

বর্তমান সময়ে অনেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে চাকরির পেছনে ছুটলেও কোথাও থিতু হতে পারছেন না। আবার অনেকে লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত হয়েও ইন্টারভিউয়ে বাদ পড়ে যান। জানেন কি, সফলতার প্রথম ধাপই হলো ইন্টারভিউ। কারণ ইন্টারভিউ বোর্ড হচ্ছে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের অন্যতম স্থান। আপনার উপস্থিত বুদ্ধি ও চৌকস আচরণই আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে আসা অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে। ইন্টারভিউর পূর্বপ্রস্তুতি কীভাবে নেবেন তা জানিয়েছেন হার্ভার্ড ক্যারিয়ার কোচ কাইল এলিয়ট।

ইন্টারভিউর মাধ্যমে প্রার্থীকে নানাভাবে পরখ করা হয়। আপনি যে পেশা বা পদের জন্যই ইন্টারভিউ দিতে যান না কেন, সেই পেশার জন্য আপনি কতটা উপযোগী তা যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এক বা একাধিক অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত থাকেন। তাঁরা এমনভাবে প্রার্থীদের চাপের মধ্যে রাখেন যাতে তাঁদের প্রশ্নের মুখে বেশির ভাগ প্রার্থীই টেনশনে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। এই দুর্ভোগে না পড়ার জন্য নিজেকে আগে থেকেই কিছুটা প্রস্তুত করতে হবে।

পদ সম্পর্কে জানুন
চাকরিদাতাদের কাছে নিজের সম্পর্কে বলার আগে অন্য একটি কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হলো যে পদটির জন্য আবেদন করছেন, সে-সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানা। কারণ ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রথমেই দেখা হবে পদটির জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলি আপনার আছে কি না। পদটির জন্য আপনি উপযুক্ত কি না, প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট আপনার আছে নাকি—এই সবকিছু সময় নিয়ে দেখে নেবেন।

পদটির জন্য যা যা প্রয়োজন তা যদি আপনার থেকে থাকে, তাহলে তিনটা কলাম করে ফেলুন। প্রথম কলামে পদটির কাজ এবং কাজ করার জন্য কী কী দরকার তা লিখে ফেলুন। দ্বিতীয় কলামে এই পদ সম্পর্কে আপনার যদি পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে, তা লিখুন। শেষ কলামে পূর্ব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কী কী শিখেছেন তা উল্লেখ করুন। এতে করে ইন্টারভিউ বোর্ডে যাওয়ার আগেই আপনি পদ-সম্পর্কিত ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারবেন।

এলিভেটর পিচ অনুশীলন করুন
এলিভেটর পিচ হলো এমন একটি যোগাযোগ-কৌশল। এটি নেটওয়ার্কিং বা চাকরি খোঁজার সময় ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। এর অর্থ হলো একটি সীমিত সময়ের জন্য একজন সম্ভাব্য নিয়োগকর্তা বা বিনিয়োগকারীর কাছে নিজেকে উপস্থাপন করা। এলিভেটর বা লিফটে মানুষ খুবই কম সময়ের জন্য থাকে। এই কম সময়েই কীভাবে আর দশটা মানুষ থেকে নিজেকে আলাদা করে পরিচয় করানো যায়, সেটাই এই পিচের আসল উদ্দেশ্য। এলিভেটর পিচ ছোট, তবে খুবই শক্তিশালী ও তথ্যবহুল হতে হবে। এটি সাধারণত ৬০ থেকে ৯০ সেকেন্ডের হয়ে থাকে।

এর মধ্যে যা যা উল্লেখ করতে পারেন:

  • কেন এই কোম্পানিতে কাজ করতে চান?
  • কেন এই পদে আবেদন করলেন?
  • আপনি কেন অন্য আবেদনকারীদের থেকে আলাদা?

কোনো গল্প দিয়ে পিচ শুরু করুন। রিক্রুটার ও ম্যানেজাররা তথ্যের জায়গায় গল্প বেশি মনে রাখেন। এসব গল্পের মাধ্যমে যেন আপনার সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা পাওয়া যায়। যেমন–

  • তিন বাক্যের মধ্যে বলুন কোন পরিস্থিতিতে আপনি এখানে জয়েন করতে চান।
  • এই নির্দিষ্ট পদটিতেই কেন আবেদন করলেন তা তিনের অধিক বাক্যে প্রকাশ করুন।
  • এর আগে কোন কোন জায়গায় এ পদে কাজ করেছেন তা উল্লেখ করুন।
  • সেসব জায়গা থেকে কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে, কী কী শিখেছেন তা বলুন।
  • আপনার পিচ ঘুরেফিরে বর্তমান কোম্পানিতে নিয়ে আসুন, যেখানে আপনি আবেদন করেছেন; অর্থাৎ এখানে আবেদন করার কারণ সব বলুন। ভুলভ্রান্তি এড়িয়ে চলুন।

যেকোনো প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত থাকুন
ইন্টারভিউ শেষেও নিয়োগদাতারা অনেক প্রশ্ন করে থাকেন। এসব ক্ষেত্রে সৎ থাকবেন, ঘাবড়ে যাবেন না। যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন:

  • আপনার সর্বশেষ কাজের সবচেয়ে ভালো বিষয়টি কী ছিল?
  • নিজের সফলতা আপনি কী দিয়ে পরিমাপ করেন?
  • তিন মাস পর নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান?

সূত্র: ফোর্বস

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ