হোম > ছাপা সংস্করণ

মায়ের কোলে নবজাতক তুলে দিতেই যত আনন্দ

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি 

সাজেরা খাতুন একজন নার্স। চাকরি করেন নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ব্যক্তি জীবনে তিনি নিঃসন্তান। তবে ইতিমধ্যে তাঁর ২৪ বছর কাটল প্রসূতির সেবায়। প্রসূতির কোলে নবজাতক তুলে দেওয়াতেই তাঁর যত আনন্দ। স্বাভাবিক সন্তান প্রসবে তাঁর অকৃত্রিম সহযোগিতায় প্রসূতিরাও মুগ্ধ।

এমনই এক প্রসূতির নাম সাবিনা। তিনি নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের চৌরাপাড়া দিঘিপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের স্ত্রী। গত ২৭ মার্চ ঝড়ের রাতে তাঁর প্রসব ব্যথা ওঠে। বাড়ি থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় ১৮ কিলো দূরে। এদিকে দুর্যোগপূর্ণ রাত। কী করবেন তা ভেবে স্বজনেরা উদ্বিগ্ন। তখনই একজনের কাছ থেকে জানতে পারেন নার্স সাজেরার কথা। রাত তখন দেড়টা বাজে। মোবাইল ফোনে সাজেরার সঙ্গে কথা হয়। তিনি প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পরই সহকর্মীদের নিয়ে প্রসূতির কাছে ছুটে যান সাজেরা। শুরু হয় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসবের চেষ্টা। একপর্যায়ে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

সেই অভিজ্ঞতার বিষয়ে গৃহবধূ সাবিনা বলেন, ‘ওই ঝড়ের রাতে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিলাম। কী হবে ভেবে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যন্ত্রণার মাঝেই সাজেরা আপার কথা মনে পড়ে। পরিবারের লোকজন তখন তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই acঝড়ের রাতের কথা এবং নার্স সাজেরা আপার আন্তরিক সেবার কথা কোনো দিন ভুলতে পারব না।’

উপজেলা সদরের গৃহবধূ কারিমা খাতুন বলেন, ‘সাজেরা আপার কাছে সময়ে-অসময়ে পরামর্শ চাইলে তিনি রাগ করেন না। আমার এলাকার যাঁরাই তাঁর সেবা নিয়েছেন, সবাই সাজেরা আপার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

নার্স সাজেরা খাতুন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের চৌরাপাড়া দিঘীপাড়া গ্রামের ইমাজ উদ্দিনের মেয়ে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ইসলামপুর ইউনিয়নের সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সাজেরা ১৯৯৮ সালের ৬ জুন নার্স হিসেবে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। থাকেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবনে।

জানতে চাইলে সাজেরা খাতুন বলেন, ‘নার্স হিসেবে আমার ২৪ বছর কেটে গেল। বিয়ের দীর্ঘ সময়েও আমি নিঃসস্তান। দুই বছর আগে আমার স্বামী মারা গেছেন। মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়। কিন্তু যখন কোনো প্রসূতির কোলে নবজাতক তুলে দিই, ওই মায়ের মুখে অদ্ভুত হাসি ফুটে ওঠে। এই দৃশ্য দেখে আমার মনও আনন্দে ভরে যায়। আমার ব্যক্তিগত দুঃখের কথা ভুলে যাই।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মাহববুল আলম বলেন, ‘প্রসূতিদের নরমাল ডেলিভারিতে সাজেরা খুবই দক্ষ। তিনি বর্তমানে নার্সিং সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। তাঁর অধীনে কাজ করা নার্সদের তিনি সফলভাবে পরিচালনা করছেন। তাঁর আরও সফলতা কামনা করি।’ 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ