হোমনা উপজেলার আছাদপুর ইউনিয়নে কেব্ল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন (২৮) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বড় বোন মোসা. পারুল আক্তার বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে হোমনা থানায় এ মামলা করেন। এতে আছাদপুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন পাঠান ও তাঁর ভাতিজা গত ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোকবল পাঠানসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সালাহ উদ্দিনের ময়নাতদন্ত শেষে গত শুক্রবার রাতে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। পরে জানাজা শেষে তাঁকে নিজ গ্রাম ঘনিয়ারচরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সালাহ উদ্দিন ঘনিয়ারচর গ্রামের মো. রেণু মিয়ার ছেলে।
বড় বোন পারুল আক্তার জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর ভাই ওয়াইফাই সংযোগের সংস্কার কাজের জন্য দুলালপুর যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে রাত ৮টার দিকে তাঁরা খবর পান ভাইকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে উপজেলার কলাগাছিয়া স্টিলব্রিজে ফেলে রেখেছে।
এ অবস্থায় বড় ভাই আরশাদ মিয়া বাড়ির লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে সালাহ উদ্দিনকে উদ্ধার করতে কলাগাছিয়া স্টিলব্রিজের দিকে রওনা দেন। পথে দুর্বৃত্তরা তাঁদের ধাওয়া করে। এ সময় ধাওয়াকারীদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল বলে জানান স্বজনেরা।
এরপর স্বজনেরা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সালাহ উদ্দিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের বোন পারুল আক্তার জানান, কারা হত্যা করেছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর ভাই তাঁদের কাছে সব বলে গেছেন এবং সেসব মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা হয়েছে। পারুল আক্তারের অভিযোগ অভিযুক্তরা তাঁর ভাইকে হত্যা করে রাতে এলাকায় এসে আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ-ফুর্তি করেছে। তাঁরা বলতে থাকে, ‘এবার সব শেষ করে দিয়েছি’। বোন বিলাপ করতে করতে তাঁর ভাই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
মামলার বিষয়ে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যবসায়ী হত্যায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’