হোম > ছাপা সংস্করণ

ঢাকায় আজও ৭ ঘণ্টা শিথিল কারফিউ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবারও সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে। এদিকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হতে পারে আগামী সপ্তাহে।

সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে গতকাল বুধবার দুপুরে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের কাছে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জাতায়াত দেশব্যাপী ব্যাপক সহিংস ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। দেশের মানুষের জীবন ও জানমাল রক্ষায় সরকার কারফিউ জারি করেছে। কারফিউ ইতিমধ্যে অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে দেওয়া হবে।

গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে কারফিউ সকাল ১০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে। অন্যান্য জেলায় কারফিউ থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।

এদিকে গতকাল দুপুর ২টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। 

মোবাইল ইন্টারনেট আগামী সপ্তাহে
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হতে পারে আগামী সপ্তাহে। বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও গণমাধ্যমে গত মঙ্গলবার রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত দেড় টেরাবাইট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয়েছে। গতকাল রাত থেকে দেশজুড়ে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করার কথা বিটিআরসির। শুক্র ও শনিবার পর্যবেক্ষণ করে অ্যামটবের সঙ্গে বৈঠকের পর রোববার থেকে মোবাইলের ৪জি নেটওয়ার্ক তথা ইন্টারনেট সংযোগ চালুর আভাস দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

ইন্টারনেট ব্যবহারে সবাইকে সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে। তা না হলে ব্যক্তি, পরিবার ও দেশ–সবাই ক্ষতির শিকার হবেন। কবে নাগাদ ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা খেয়াল করছি যে এই মুহূর্তে কিছু সামাজিকমাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব যেহেতু বাংলাদেশের আইনকে কোনোভাবেই মানছে না, আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা কোনোকিছুকেই তারা সম্মান দেখাচ্ছে না, এবং তারা নিজেদের পলিসি গাইডলাইন, প্রাইভেসি সেটিংস নিজেরাই ভঙ্গ করছে। তো এই মুহূর্তে আমরা এই ঝুঁকিটা কীভাবে নেব? তারা যদি প্রতিশ্রুতি দেয় যে তারা এসব বিষয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করবে, তখন আমরা বিবেচনা করব।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, ফেসবুক, টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে তিন দিনের মধ্যে চিঠি দিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি শুনানিতে অংশ নিয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে, তবে তাদের বিষয়ে কঠোর হবে না সরকার।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ