রাতের আঁধারে ঘুমন্ত পুত্রবধূর মাথার চুল কেটে দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ি ও জার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার।
গত মঙ্গলবার সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূ জানান, ২০২০ সালে ২৭ জুন বর্তমান স্বামী ধর্ষণ করে তাঁকে। এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলা থেকে রেহাই পেতে বর্তমান স্বামী পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁকে বিয়ে করেন। এরই মধ্যে ওই গৃহবধূর একটি ছেলে হয়। পরে শিশু সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।
ওই গৃহবধূ আরও জানান, শুরু থেকেই ওই বাড়িতে থাকার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না শাশুড়ি ও স্বামীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই গৃহবধূ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় শাশুড়ি এবং জা মাথার সব চুল ছোট করে কেটে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছে। এখন তিনি মামা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
ওই গৃহবধূর শাশুড়ি ও জা তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।