বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িচালককে মারধর করেছে গ্রামবাসী। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘেরাও করে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। গত রোববার সন্ধ্যার দিকে পাকুড়িহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার পাকুড়িহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের কিছু অংশ হলহলিয়া নদীতে বিলীন হয়েছে। বেহাল মাঠটি সংস্কারের জন্য সরকারি বরাদ্দও নেই। এ অবস্থায় গ্রামবাসী নদীতে খননযন্ত্র বসিয়ে বালু তুলে মাঠটি সংস্কার শুরু করে। বালু তোলার খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরকত উল্লাহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য রোববার সন্ধ্যার দিকে সেখানে যান। এ সময় তাঁর গাড়ির চালক আব্দুল মোমিন খননযন্ত্র ভাঙচুরের চেষ্টা করলে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘেরাও করে রাখেন এবং মোমিনকে মারধর করেন। খবর পেয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা পর থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরকত উল্লাহ বলেন, মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য যান। সেখানে গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাঁর গাড়িচালকের ধাক্কাধাক্কি হয়। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, বালু উত্তোলনের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। গ্রামবাসী উদ্যোগ নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কারের জন্য বালু তুলছিলেন। সামনে ইউপি নির্বাচন থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের লোকজন অপপ্রচার করছে।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত দলকে উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ হাতে পাননি।