নোয়াখালীতে হয়রানি বন্ধসহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। এ সময় তাঁরা নোয়াখালী বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তাঁদের অপসারণের দাবি জানান।
গতকাল সোমবার সকালে নোয়াখালীর মাইজদী টাউনহল মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
গ্রাহকদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, প্রকৃত মিটার রিডিং থেকে ২০-২৫ ভাগ বেশি দেখিয়ে বিল তৈরি করে গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করা, নতুন স্থাপনা নির্মাণকাজে অস্থায়ী মিটার বরাদ্দ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) নোয়াখালী কার্যালয়ের গ্রাহকদের মামলার ভয় দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা আদায় বন্ধ। এ সময় তাঁরা বিদ্যুৎ বিভাগ নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিনের গ্রাহক হয়রানি, দুর্ব্যবহার, দুর্নীতিরও প্রতিবাদ জানান।
মানববন্ধন থেকে অভিযোগ করা হয়, বিউবো জেলা কার্যালয়ে স্থায়ী কর্মচারীদের বিভিন্ন অজুহাতে অহেতুক বদলি করে শূন্যস্থানে অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগের মাধ্যমে কারিগরি কাজ করানোর পাশাপাশি মিটার রিডিং নেওয়া হয়। এসব কর্মচারির বেশির ভাগ নির্বাহী প্রকৌশলীর আত্মীয়স্বজন। শহরের বিভিন্ন মার্কেট, হাসপাতালে নোয়াখালী প্রকল্প বিভাগ থেকে ট্রান্সফরমার বসিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। সাধারণ গ্রাহকদের মামলার ভয় দেখিয়ে তিন গুণ হারে বিল করা হয়। এই বিল দিতে অস্বীকৃতি জানালে হয়রানির পাশাপাশি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে আরও অভিযোগ করা হয়, আর্থিক অসংগতির কারণে সময়মতো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে না পারলে কিস্তি সুবিধা নিতে চাইলে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কোনো এলাকায় ট্রান্সফরমার ওভারলোড হলে ওই এলাকায় নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপন করতে হলে নির্বাহী প্রকৌশলকে আর্থিক সুবিধা দিতে হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং গ্রাহকের সঠিক বিল নিশ্চিত করতে নির্বাহী এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর অপসারণের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গ্রাহক রাজিব হোসেন, আবদুল্যাহ আল মাসুদ, হারুনুর রশিদসহ নোয়াখালী পৌর ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল আমিনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।