খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ইন্টারনেট থেকে বস্তায় আদায় চাষ শিখে ছিলেন মো. আবুল কাশেম। মাত্র ২ শতাংশ জমিতে ৭০০ বস্তায় আদা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন এই শৌখিন কৃষক।
উপজেলার হাজীপাড়ার শৌখিন কৃষক আবুল কাশেম ৩ দশক লেবাননে কাটিয়েছেন। এ সময় এলাকায় মিশ্র ফলদ ও বনজ বাগান গড়ে তোলেন তিনি। সম্প্রতি ২ শতাংশ জমিতে ৭০০টি বস্তায় আদা চাষ করছেন। এতে তাঁর ব্যয় হয়েছে ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা।
প্রতি বস্তায় পরিমাণ মতো সার ও ওষুধ দিয়ে ২ টুকরো আদা বপন করেন। এখন প্রতি বস্তায় ৪-৫টি করে গাছ বড় হয়ে উঠছে। প্রতি বস্তায় ৩ কেজির বেশি আদা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আদা হবে প্রায় ২ হাজার কেজি। এতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় হবে বলে করছেন আবুল কাশেম। আদা তোলা শেষ হলে বস্তায় মিষ্টি আলু, মাল্টা গাছ লাগানো পরিকল্পনা তাঁর।
আবুল কাশেম বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করে মিশ্র ফলদ, বনজ বাগানের ফাঁকে ফাঁকে রোদ-ছায়া যুক্ত জায়গায় বস্তায় আদা চাষে আমি সফল। আগামীতে একই বস্তায় প্রথমে মিষ্টি আলু চাষ করব। আলু ওঠানোর পর তাতে আবার আদা লাগাব।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন কাউসার আফ্রাদ বলেন, বস্তায় আদায় চাষে গাছে শক্তি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শৌখিন কৃষক আবুল কাশেম নিজ উদ্যোগে বস্তায় আদা, আলু ও মাল্টা চাষ যেভাবে শুরু করেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। এ ছাড়া উপজেলার কুমারী এলাকায়ও মিশ্র ফলদ বাগানের চারপাশে মাটি ক্ষয়রোধে বস্তা বসিয়ে তাতে আদা চাষ করা হয়েছে। এতে গাছে ফল বেশি হওয়া স্বাভাবিক। কৃষি বিভাগ এ ধরনের কৃষকদের যে কোনো পরামর্শ ও সহযোগিতা করবে।