নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সাংবাদিক রানা আকন্দের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
পুলিশের দাবি, মামলা দায়েরের পর থেকে তারা জোর অভিযান চালাচ্ছে। গতকাল রাতেও পুলিশ মামলার আসামি রুবেলের মইপুকুরিয়া গ্রামের বাড়ি, নেত্রকোনা শহরের সাতপাই এলাকার বাসা এবং আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহম্মেদ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় বিজয় দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কৈলাটি ইউনিয়নের সিধলী বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় আজকের পত্রিকার কলমাকান্দা প্রতিনিধি রানা আকন্দ মোটরসাইকেল চালিয়ে সিধলী সেতু পার হচ্ছিলেন। ঠিক তখন ইউপি নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রুবেল ভূঁইয়ার
লোকজন তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা তাঁকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই আহত সাংবাদিক রানা আকন্দের বাবা মো. হাবিবুর রহমান আকন্দ বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ এবং আট থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাদী মো. হাবিবুর রহমান আকন্দ। তিনি বলেন, হামলার মূল হোতা রুবেল ভূঁইয়াসহ অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না। তারা শুধু অভিযান চলছে বলে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহম্মেদ বলেন, ‘গতকাল সারা রাত অভিযান চালিয়েও আসামিদের কাউকে পাওয়া যায়নি।’