বরযাত্রীর জন্য তৈরি করা হয়েছে গেট। বরের জন্য ফুল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বসার মঞ্চ। সাজানো হয়েছে পুরো বাড়ি। বর আসার পর যথাসময়ে খাওয়াদাওয়া শুরু হয়। সব শেষে বিয়ের পর বর-কনেকে বিদায় দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে বাধে বিপত্তি। বরের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে কনে পক্ষের এক নারীর সঙ্গে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে কনের মাসহ উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছে।
গত বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আহম্মদ মিয়া বাজারের পাশে। এ ঘটনায় আহতদের হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কনের মা আহত কুলসুমা বেগমের জ্ঞান ফেরেনি।
আহত অন্যরা হলো বরপক্ষের ইয়াসমিন আক্তার (৩০), সালমা আক্তার (২৮), বরের ভাই মো. মিরাজ (৩৩), মো. মুরাদ (৩০), মো. রুবেলসহ (১৫) ৯ জন। কনে পক্ষে রয়েছেন কনের মা কুলসুমা বেগম (৩৫) এবং আনোয়ারা খাতুন (৭০)। আহতরা সবাই বর-কনের স্বজন।
বরের ভাই মিরাজ হোসেন জানান, উভয় পক্ষের আন্তরিকতায় খাওয়া দাওয়া শেষ হয়। বিদায় নেওয়ার সময় বর কনেকে একই মঞ্চে আনা হয়। এ সময় নারীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। পরে কনে পক্ষের কিছু উত্তেজিত লোকজন বর পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিদারুল ইসলাম খান বলেন, ‘খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে কনের বাড়িতে যাই। পরে উভয় পক্ষকে শান্ত করে আহতদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।