আগামী ২৬ ডিসেম্বর ঘিওর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য, সংরক্ষিত সদস্য পদের প্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন। প্রার্থীদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করে বেড়াচ্ছেন তাঁরা।
বানিয়াজুরী ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. নূর আলম (নৌকা)। এ ছাড়া রয়েছেন জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী কবির হোসেন রতন (গোলাপ ফুল)। ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চতু (মোটরসাইকেল), এস আর আনসারী বিল্টু (চশমা), আরিফ খান (আনারস), খলিলুর রহমান (অটোরিকশা) ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (ঘোড়া)।
ইউপিতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ভোটারের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নির্বাচনে লড়াই হবে মূলত ৩ প্রার্থীর মধ্যে। তাঁরা হলেন- নূর আলম, আবুল কাশেম চতু ও আনসারী বিল্টু। এ ছাড়া আরিফ খান ও খলিলুর রহমান তাঁদের নিজেদের এলাকায় ভালো অবস্থানে রয়েছেন। জাকের পার্টির কবির হোসেন রতন ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কাগজ-কলমে প্রার্থী থাকলেও ভোট চাইতে দেখা যায়নি তাঁদের।
রাথুরা গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়া বলেন, ‘এলাকার অনুন্নত রাস্তাঘাটের উন্নয়ন যে প্রার্থী করবেন, আমরা তাঁকে ভোট দেব।’
নয়াচর গ্রামের বাসিন্দা মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘যে প্রার্থী এলাকার উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা দিতে পারবে, আমরা তাঁকেই বুঝেশুনে ভোট দেব।’
এ ব্যাপারে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চতু বলেন, ‘ইউনিয়নের প্রায় সব গ্রামেই আমি উন্নয়নকাজ করেছি। এবার নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম বলেন, ‘আমি বিগত সময়ে চেয়ারম্যান ছিলাম। এবারও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে বানিয়াজুরীকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী আনসারী বিল্টু বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে আমি জয়ী হব। আমি সাধারণ জনগণের পাশে ছিলাম এবং আজীবন তাঁদের জন্য কাজ করে যেতে চাই।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোসাম্মৎ ফেরদৌসী বেগম বলেন, বানিয়াজুরী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪৩ জন আর সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি আরও জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি নিয়েছে।