বাংলাদেশের ‘বন্ধু আমার’, ‘মেয়েরাও মানুষ’, ‘দোস্ত দুশমন’সহ বেশকিছু সিনেমার গানে সংগীত পরিচালনা করেছেন বাপ্পি লাহিড়ী। ‘বন্ধু আমার’, ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’সহ বেশ কিছু সিনেমার গানে কণ্ঠও দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী আব্দুল জব্বাবের ভীষণ ভক্ত ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আব্দুল জব্বার গেয়েছিলেন ‘হাজার বছর পরে আবার এসেছি ফিরে বাংলার বুকে আছি দাঁড়িয়ে’। এ গানটির সুর করেছিলেন বাপ্পি।
প্রখ্যাত গায়ক কিশোর কুমারকে মামা বলে ডাকতেন বাপ্পি লাহিড়ী। বাপ্পীর সুরে অনেক গান গেয়েছেন কিশোর। তাঁর মৃত্যুর পর খুব ভেঙে পড়েছিলেন বাপ্পি। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আর কোনো গানে সুর দেবেন না। পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত বদলান বাপ্পি।
মাত্র ৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো শুরু করেন তিনি। ১৯৭২ সালে ১৯ বছর বয়সে ‘দাদু’ নামের বাংলা সিনেমায় প্রথম কাজ করেন। পরের বছর ‘ননহা শিকারি’ সিনেমা দিয়ে কাজ শুরু করেন হিন্দি সিনেমায়।
১৯৭৪ সালে মুক্তি পাওয়া কমেডি সিনেমা ‘বাড়তি কা নাম দাড়ি’তে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেন বাপ্পি লাহিড়ী। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন কিশোর কুমার।
বাপ্পি লাহিড়ীর গলায় থাকত পান্নাখচিত গণেশের একটি লকেট। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, পপতারকা মাইকেল জ্যাকশন একবার তাঁর এই লকেটের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
কেন তিনি সবসময় সোনার গয়না পরে থাকতেন, সে উত্তরও দিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী। এক সাক্ষাৎকারে শিল্পী জানান, প্রথম সোনার চেন উপহার দিয়েছিলেন মা। এর পর স্ত্রী তাঁকে গণেশের লকেট উপহার দেন। বাপ্পি লাহিড়ী মনে করতেন, সোনা তাঁর জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক।
বাপ্পি লাহিড়ীর সংগীত পরিচালনায় ‘ডিস্কো ডান্সার’ সিনেমার ‘জিমি জিমি আজা আজা’ গানটি ব্যবহার করা হয়েছে হলিউড সিনেমায়। ‘ইউ ডোন্ট মেস উইথ দ্য জোহানস’ সিনেমায় শোনা যায় ‘জিমি জিমি’।
২০০৪ সালে কংগ্রেসের হয়ে প্রচারণায় নামেন বাপ্পি লাহিড়ী। ২০১৪ সালে যোগ দেন বিজেপিতে। ওই বছর পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে লোকসভা ভোটে অংশ নেন বাপ্পি লাহিড়ী। কিন্তু হেরে যান তিনি।