২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে সুধীজন পাঠাগারে যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে অপহরণ করা হয়েছিল মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে। এর দুই দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর খালের পাড় থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর শেষ হতে চললেও এখনো বিচার পায়নি পরিবার। এ অবস্থায় ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে দেশের ২৬ জন বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার এই বিবৃতি প্রকাশ করে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ। সংগঠনের সদস্যসচিব হালিম আজাদ স্বাক্ষরিত এই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ৯ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে ৬ মার্চ। অথচ আজ পর্যন্ত এই হত্যার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়ে বিচারকার্য শুরু করা হয়নি। আমরা এতে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ।’
বিবৃতিতে তাঁরা আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের সব নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার সংবিধান নিশ্চিত করেছে। অপরাধীর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দুর্বলতা প্রদর্শন ও বিচারব্যবস্থায় বৈষম্য শুধু আইনের ব্যত্যয়ই নয়, তা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনারও পরিপন্থী। কোনো হত্যার বিচার বন্ধ করে রাখা কখনোই কাম্য হতে পারে না। আমরা অচিরেই ত্বকী হত্যার বিচার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ সন্জীদা খাতুন, শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, শিক্ষাবিদ যতীন সরকার, শিক্ষাবিদ হায়াৎ মামুদ, শিল্পী রফিকুন নবী, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, শিক্ষাবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, মানবাধিকার সংগঠক সুলতানা কামাল, আইনবিদ শাহদীন মালিক, শিক্ষাবিদ সফিউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারোয়ার আলী, নারীনেত্রী মালেকা বেগম, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন, অধ্যাপক শফি আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।