হোম > ছাপা সংস্করণ

শোক পালনের ইসলামি রীতি

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

প্রিয়জনের মৃত্যু মানুষের জীবনে বড় বিপদ। সব বিপদে আল্লাহর ফয়সালা খুশিমনে মেনে নিয়ে ধৈর্য ধরার কথা বলে ইসলাম। তবে অনেক সময় প্রিয়জন হারানোর বেদনা এতই তীব্র হয় যে কান্না ধরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। এ কান্নার ব্যাপারে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ নেই।

পুত্র ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুতে মহানবী (সা.) অশ্রুপাত করেন। তা দেখে আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনিও কাঁদছেন?’ তিনি বললেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ।’ এরপর বললেন, ‘আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি সে কথাই বলছি, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (বুখারি)

তবে উঁচু আওয়াজে কান্না করা ও বিলাপ করা ইসলামে নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করা, চিৎকার করে কান্না করা জাহেলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী মৃত্যুর আগে যদি তওবা না করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন আলকাতরা ও আগুনের লাভার পোশাক পরাবেন।’ (ইবনে মাজাহ)

আরেক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি মৃতের শোকে গালে চপেটাঘাত করে, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে অথবা জাহেলি যুগের মতো হইচই করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (বুখারি)

ইসলামে নারীরা ইদ্দত তথা স্বামীর জন্য বিধিবদ্ধ শোক পালন করবে। শোক পালনের পদ্ধতি হলো—এই সময়ে তারা সুরমা, সুগন্ধি, মেহেদি, সাজসজ্জা, আকর্ষণীয় পোশাক ও অলংকার পরিধান থেকে বিরত থাকবে। (হিদায়া)

যে নারীর স্বামী মারা গেছে, সে গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত, আর স্বাভাবিক অবস্থায় ৪ মাস ১০ দিন শোক পালন করবে। এটা আবশ্যকীয় বিধান। স্বামী ছাড়া অন্য আত্মীয়ের মৃত্যুতে নারীরা চাইলে তিন দিন শোক পালন করতে পারবে।

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ