ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া-লাঙ্গলবাধ সড়ক নির্মাণকাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তদারকি না করার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ইট, খোয়া ও বালু নিম্নমানের বলে অভিযোগ উঠেছে। নতুন পাথর দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পুরোনো পাথর। করা হচ্ছে না ঠিকমতো রোলার। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার বলেছেন, নিয়ম মেনেই তাঁরা কাজ করছেন।
দেখা যায়, ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মাইনুদ্দিন বাশি লিমিটেড অ্যান্ড মিজানুর রহমান জেভি। শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া থেকে লাঙ্গলবাধ পর্যন্ত সড়কটি ১৮ ফুট চওড়া করার কথা।
সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের মার্চে। কাজের সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তাঁদের দেখা যায় না। মাঝে মধ্যে কার্য সহকারী মতিয়ার রহমানের দেখা মিলে।
সড়কের কোল ঘেঁষে মাটি কাটার ফলে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ১০-১২ ফুট গর্ত করে খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। এই বর্ষা মৌসুমে যে কোনো সময় রাস্তার একটা বড় অংশ ধসে যেতে পারে গর্তের মধ্যে। দরপত্রে রাস্তার দুপাশের মাটি ভরাটের জন্য আলাদা টাকা বরাদ্দ থাকলেও রাস্তার কোল ঘেঁষে মাটি কেটে গর্তের সৃষ্টি করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেশি লাভের জন্য এভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ধাওড়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘কাজ হচ্ছে ঠিকই কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছামতো। কাজের ব্যাপারে তেমন কোনো তদারকি নেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের।’
পাইকপাড়া গ্রামের নওশের বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় রাস্তার বেশির ভাগ কাজ হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। রাস্তার পুরোনো ইট দিয়ে বেশির ভাগ কাজ হচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তার কোল ঘেঁষে মাটি কাটার ফলে রাস্তায় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুদিন পরেই আবার রাস্তা ভেঙে এই গর্তের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে। ’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনেই কাজ করছি।’
ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘আমরা কাজটি তদারকি করছি। গতকালও পরিদর্শন করেছি। আর সড়কের কোল ঘেঁষে মাটি কাটার মাটি কাটা বন্ধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছি।