প্রচণ্ড দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে যাঁরা এই গরমে বাইরের পরিবেশে কাজ করছেন, কৃষি বা অন্যান্য শ্রমনির্ভর কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের প্রশান্তির জন্য কাজ করা সমাজের বিত্তবান ও হিতৈষী মানুষের একান্ত দায়িত্ব। তাঁদের জন্য ছায়ায় একটু বসার ব্যবস্থা করা, শীতল পানি দিয়ে আপ্যায়ন করা, হাতপাখা বা ফ্যান উপহার দিয়ে তাঁদের সহযোগিতা করা ইত্যাদি হতে পারে এই দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। আর যাঁরা অতিরিক্ত গরমের কারণে আয়-রোজগার করতে পারছেন না, তাঁদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই হবে সবচেয়ে বড় জনসেবা।
ইসলাম মানুষের কল্যাণে কাজ করতে উৎসাহ দেয়। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যখন অন্যের কল্যাণে নিয়োজিত থাকে, তখন আল্লাহও তার কল্যাণে রত থাকেন।’ (মুসলিম)
মানুষের প্রয়োজন পূরণ করা বড় সওয়াবের কাজ। মহান আল্লাহ এমন ব্যক্তিকে নিজ দায়িত্বে সুরক্ষা দেন। হাদিসে এসেছে, ‘কোনো মুসলমান অন্য মুসলমানকে কাপড় দান করলে যতক্ষণ ওই কাপড়ের টুকরো তার কাছে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দানকারী আল্লাহর হেফাজতে থাকবে।’ (তিরমিজি)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি অন্য মুসলমানের প্রয়োজন পূরণ করবে, আল্লাহ তাআলাও তার প্রয়োজন মিটিয়ে দেবেন। আর যে ব্যক্তি অন্য মুসলমানের বিপদ দূর করবে, আল্লাহ তাআলাও তার বিপদ দূর করে দেবেন।’ (আবু দাউদ)
মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ালে পরকালে আল্লাহ তাআলা উত্তম পুরস্কারে ভূষিত করবেন। এরশাদ হয়েছে, ‘যে বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দান করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের সবুজ বর্ণের পোশাক পরাবেন। খাদ্য দান করলে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন।’ (আবু দাউদ)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক