নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ক্ষিদ্রমালঞ্চি এলাকায় পাকা রাস্তার একটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন। চার বছর আগে তৈরি এই কালভার্টটি প্রায় সাত মাস আগে ভাঙলেও এখনো কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কালভার্টটি নির্মাণে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণ করায় এই অবস্থা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, কালভার্টের এক পাশের দেয়াল ভেঙে পড়ে গেছে। পণ্যবোঝাই যেকোনো গাড়ি উঠলেই ছাদটি ধসে যেতে পারে। তখন বড় ধরনের দুর্ঘটনার পাশাপাশি সড়কটির যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ক্ষিদ্রমালঞ্চি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আসমত আলীর বাড়ির কাছের কালভার্টটি যেকোনো সময় পুরোটাই ভেঙে যেতে পারে। এতে কয়েক গ্রামের মানুষের যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই কালভার্টটি দিয়ে বর্ষার সময় রহিমানপুর, নূরপুর, রাঙামাটি ও ক্ষিদ্রমালঞ্চি মাঠের পানি নেমে যায়। তাই বর্ষার আগে মেরামত করা না হলে চারটি মাঠের প্রায় ৪০০ বিঘা জমি ফসল জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়বে। এতে চাষাবাদ বাধাগ্রস্ত হবে। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই কালভার্টটি দ্রুত মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর।
ক্ষিদ্রমালঞ্চি গ্রামের জমসেদ আলী বলেন, আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ও মাঠের বর্ষার পানি এই কালভার্ট দিয়ে নেমে যায়। তাই কালভার্টটি ভেঙে বন্ধ হয়ে গেলে কয়েকটি গ্রাম ও মাঠ জলাবদ্ধতার শিকার হবে।
সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আসমত আলী বলেন, কালভার্টটি প্রথমে অল্প ভাঙলেও দিনদিন তা বাড়ছে। কিছুদিনের মধ্যে হয়তো পুরোটাই ভেঙে যাবে। তখন দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। তাই দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কালভার্টটি সম্পর্কে তিনি কয়েক দিন আগে জানতে পেরেছেন। জনসাধারণের চলাচলের বিষয়টি বিবেচনা করে অবিলম্বে তা মেরামত করা হবে।