হোম > ছাপা সংস্করণ

আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রচার

জসিম উদ্দিন (নীলফামারী) ও সিএস তপন (কিশোরগঞ্জ)

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি উপেক্ষা করে চলছে প্রচার। প্রতীক সংবলিত পোস্টারে স্থানীয় সাংসদের ছবি ব্যবহার করায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। অন্যদিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদে একই পরিবারের তিনজন প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কা প্রকাশ করছেন অন্য প্রার্থীরা। তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী জানান, বিষয়টি জানা ছিল না। নতুন পোস্টার দিয়ে ওই সব ঢেকে দেওয়া হবে।

এদিকে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে জানান কিশোরগঞ্জ উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে একই পরিবারের চারজন প্রার্থী হওয়ার কারণে ভোটকেন্দ্রগুলো বিশেষ নজরদারির মধ্যে রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সরেজমিনে কিশোরগঞ্জ ইউনিয়নে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মো. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পোস্টারে দলীয় প্রধানের পাশাপাশি অন্য কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় সাংসদ আহসান আদেলুর রহমানের ছবি ব্যবহার করেছেন, যা আচরণবিধির লঙ্ঘন। কারণ নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র-৪ ধারা অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শুধু দলের বর্তমান প্রধানের ছবি পোস্টার বা প্রচারপত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।

একই কায়দায় বড়ভিটা ইউনিয়নে লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ফজলার রহমানও স্থানীয় সাংসদের ছবি ব্যবহার করেছেন পোস্টারে। ওই প্রার্থীর তিন পুত্রসন্তান আবু সাঈদ আখতারুজ্জামান (ঘোড়া প্রতীক), আবু হেনা মোস্তফা জামান (আনারস প্রতীক) ও আবু সাজ্জাদ মোস্তফা জামান (দোয়াত-কলম প্রতীক) নির্বাচনে নামমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। তাঁদের নিজের কোনো পোস্টার বা প্রচার নেই। তিনজনই লাঙল প্রতীকের কর্মী হিসেবে মাঠে কাজ করছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী অটোরিকশা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জগলুল হায়দার জানান, এক প্রার্থী পোস্টারে সাংসদের ছবি ব্যবহার করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এ ছাড়া একই পরিবারের তিন চারজনের প্রার্থিতা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট সংখ্যা বাড়িয়ে প্রভাব সৃষ্টি করা। এতে কেন্দ্র দখল বা গোলযোগ সৃষ্টি করার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বড়ভিটা বাজারের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, ‘ইউনিয়নে ১৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। কিন্তু পাঁচজন প্রার্থীর পোস্টার, মাইকিং ও কর্মী দেখতে পাচ্ছি। বাকিরা লাঙল প্রতীকের প্রার্থীর পুত্র, ভাতিজা, জামাতা ও প্রতিবেশী।’

এদিকে, উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাপ পিরিচ প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনজুরুল হককে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে চার হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গত শনিবার রাতে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এই জরিমানা করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বড়ভিটা ইউপি নির্বাচনে ওই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে তার সমর্থকেরা একটি মিছিল রাত ৯টা ১৫ মিনিটে বের করে। এতে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়। এ সময় বড়ভিটা বাজারে দায়িত্ব পালনরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ জরিমানা করেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ