হোম > ছাপা সংস্করণ

‘আমাদের শাসকেরা নগ্ন’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশগ্রহণে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬)। জলবায়ুবিষয়ক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলনে ইতিমধ্যে কার্বন ও মিথেন নিঃসরণ, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনাসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। তবে জলবায়ু পরিবর্তনগত বিপর্যয় থেকে বিশ্বকে রক্ষায় শুধু এসব প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখতে পারছেন না অনেকে। কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে তাই বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মতো গ্লাসগোতেও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শত শত তরুণ-তরুণী, যেখানে অংশ নেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও।

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ‘ফিউচার স্কটল্যান্ড’ নামে তরুণদের একটি সংগঠন। কপ-২৬ সম্মেলন ঘিরে আয়োজিত সবচেয়ে বড় এই সমাবেশে গ্রেটা বলেন, ‘এটি এখন আর গোপন নয় যে কপ-২৬ ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের অবিলম্বে উল্লেখযোগ্য হারে কার্বন নিঃসরণ কমানো দরকার, যা বিশ্ব আগে কখনো দেখেনি।’

গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, ‘ক্ষমতাবানরা তাঁদের রঙিন কল্পনার জগতে বেঁচে থাকতে পছন্দ করেন, যেমন তাঁরা ভাবতে পারেন যে প্রযুক্তির কল্যাণে এমন কোনো শক্তি মানুষ পেয়ে যাবে, যা দিয়ে হঠাৎ করেই একটি গ্রহে অলৌকিক কিছু ঘটে যাবে; যা নিমেষেই বর্তমান সব সংকট থেকে আমাদের মুক্ত করবে। কিন্তু সামনের সারিতে থাকা ব্যক্তিরা যখন এ ধরনের স্বপ্নে বিভোর, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পৃথিবী তখন আক্ষরিক অর্থেই পুড়ছে।’

জাতিসংঘের এই জলবায়ু সম্মেলনকে ‘যথারীতি দুই সপ্তাহব্যাপী ব্যবসায়িক আয়োজন’ হিসেবে বর্ণনা করে গ্রেটা আরও বলেন, ‘কপ-২৬ ব্যবসা বজায় রাখা এবং বিশ্বনেতাদের নিজেদের সুবিধার পথ তৈরি করার উদ্যোগ ছাড়া কিছুই নয়। আমরা জানি যে আমাদের শাসকেরা নগ্ন।’

বিক্ষোভ সমাবেশে গ্রেটা থুনবার্গ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণ পরিবেশকর্মীরা তাঁদের নিজ নিজ দেশ কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা তুলে ধরেন।

জলবায়ু পরিবর্তন এখন ‘দৈনন্দিন বাস্তবতা’ ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে কপ-২৬ সম্মেলনের বেশির ভাগ আলোচনা, যেখানে বিশ্বনেতারা আটকে আছেন ভবিষ্যদ্বাণী এবং পুরোনো প্রতিশ্রুতিতেই।

কিন্তু বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ইতিমধ্যেই একটি দৈনন্দিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার মতামত কলামে তিনি লিখেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বুরকিনা ফাসো থেকে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে মোজাম্বিক পর্যন্ত দারিদ্র্য, অস্থিতিশীলতা এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।’

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা অনেক দেশ এরই মধ্যে নানা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে, যা কয়েক দশক ধরে চলে আসছে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ধ্বংস করেছে। তবে বিশ্বের সর্বত্র, সবাই যে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে, সে বিষয়ে ধীরে ধীরে সবাই সচেতন হচ্ছে। যদিও কঠিন বাস্তবতা হলো, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য যারা সবচেয়ে কম দায়ী, তারাই এতে ইতিমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুগছে।’

তরুণ প্রজন্ম ন্যায্যভাবেই তাদের ভবিষ্যৎ মানবাধিকারের জন্য লড়াই করছে উল্লেখ করে ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেছেন, ‘প্রতিশ্রুতি নয়, আমাদের এখন প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ এবং জবাবদিহি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ