হোম > ছাপা সংস্করণ

২৬ হাজার মামলার জট ভোগান্তি বিচারপ্রার্থীদের

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের ১৭টি আদালতে বর্তমানে প্রায় ২৬ হাজার মামলা বিচারাধীন। দীর্ঘদিনেও বিচার না হওয়ায় বাদীরা আদালতে এসে হয়রানি আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এতে বাদীদের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ আইনজীবীরাও। তবে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন নির্মাণ হলেই এই সমস্যা থাকবে না বলে দাবি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের।

একাধিক আইনজীবী জানান, মাদারীপুরের আদালতগুলোতে বিচারকসংকট। সেই সঙ্গে এজলাস-সংকটও রয়েছে। পাশাপাশি ব্রিটিশ আমলের আইনের পরিবর্তন না হওয়ায় দীর্ঘদিনেও মামলার জট কমছে না। তা ছাড়া অনেকেই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করেন। এতেও সমস্যা। তাই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার বাদীদের আইনের আওতায় আনা হলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।

রাষ্ট্রপক্ষের একাধিক কৌঁসুলি জানান, মাদারীপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জন্য আলাদা নতুন ভবন নির্মাণে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এটি নির্মাণ হলেই আস্তে আস্তে কেটে যাবে এই সমস্যা।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৪ হাজার ৮০০, সহকারী জজ আদালতে ৭ হাজার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাড়ে ৭ হাজার, নারী ও শিশু আদালতে ২ হাজার ৩০০ এবং ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৪ হাজার মামলা বিচারাধীন। মাদারীপুর আদালতে এই মামলার জন্য মাত্র ১৭ জন বিচারক ও ১৪টি এজলাস রয়েছে।

ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমার উকিল (আইনজীবী) বলেন, আমি মামলার রায় পাব, কিন্তু পাই না। কবে পাব, তা-ও জানি না। আমি গরিব মানুষ। মামলা চালাতে আমার অনেক কষ্ট হয়।’

আরেক ভুক্তভোগী এমদাদুল হক বলেন, ‘আমার বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামে। আমি একটি মামলার আসামি। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর অভাবে সাত বছরেও মামলার কোনো ফলাফল হয়নি। কবে এর থেকে মুক্তি পাব, তা-ও জানা নেই।’

মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী যতিন সরকার বলেন, বিচারক ও এজলাস-সংকটই হচ্ছে মূল সমস্যা। এই সংকট কাটলে আস্তে আস্তে মামলার সংখ্যাও কমে যাবে।

মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, মিথ্যা মামলা দেওয়া বাদীদের আইনের আওতায় আনা হলে মামলার সংখ্যা কমে যাবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত বিচারক ও এজলাস হলে সব ক্ষেত্রেই বাদী ও বিবাদী লাভবান হবেন।

মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি উকিল বিদ্যুৎ কান্তি বাড়ৈ বলেন, ‘আদালতে বিচারকসংকট কাটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দু-একটি এজলাস হলেই আপাতত সমস্যা দূর হতো বলে আমি মনে করি।’

মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি উকিল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন নির্মাণ হলেই আস্তে আস্তে কেটে যাবে এই সমস্যা। ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা চূড়ান্ত হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ