বগুড়ার ধুনটে লতা খাতুন নামের এক নারী দুর্বৃত্তের চাকুর আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকার পূর্বভরণশাহী গ্রামের ওই নারীর ঘরের বেড়া ভেঙে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই নারীর গলা, কানের পাশে ও হাত কেটে যায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল শুক্রবার সজীব হোসেন নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
লতা খাতুন (৪১) পৌর এলাকার পূর্বভরণশাহী গ্রামের বাসিন্দা।
আটক সজীব হোসেন (২০) একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে চাচাতো ভাই আবুল কালামের সঙ্গে লতা খাতুনের বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘরে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে আছে। ১০ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তাঁর। এর পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন। বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে একাই ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। মধ্যরাতের দিকে ঘরের বেড়া ভেঙে দুর্বৃত্তরা তার ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ঘুমন্ত লতা খাতুনের গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করে। এ সময় দুর্বৃত্তের হাত থেকে বাঁচার জন্য ধস্তাধস্তি শুরু করেন লতা খাতুন। এতে তাঁর গলা, কানের পাশে ও হাত কেটে যায়। লতার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্বজনেরা লতা খাতুনকে উদ্ধার করে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গতকাল বেলা ১১টার দিকে সজীব হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।