বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আজকে সব জিনিসের দাম বাড়ছে। দুটি জিনিসের দাম কমছে। একটা হচ্ছে মানুষের জীবনের দাম, অন্যটি নারী ও শিশুর। আজকে অবুঝ শিশুরা ধর্ষণের শিকার হয়, মা-বোনকে তাঁর ইজ্জত হারাতে হয়। আজকে ঘরে থাকলে মরতে হয়, বাইরে গেলে গুম হয়ে যেতে হয়। কখনো কখনো গুলি খেয়ে মরতে হয়।’
গতকাল শনিবার সকালে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকার কেরানীগঞ্জে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জিনজিনরায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থানীয় নেতা, মোজাদ্দেদ আলী বাবু, হাজি ওমর শাহ নেওয়াজ, আব্দুল মান্নান রতন, ইশা খান, যুবদলের মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সোহেল রানা, মহিলা দলের নার্গিস হক, ছাত্রদলের পাভেল মোল্লা প্রমুখ।
এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেটের হোতারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক। তাঁরা সিন্ডিকেট করে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
এর আগে নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার রাতে সমাবেশের জন্য জিনজিনরা পার্টি অফিসের পাশে একটি মঞ্চ করলে তা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে ভেঙে দেয়। এ সময় সেখানে আমার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা নেতা-কর্মীদেরও মারধর করা হয়। এতে ২৫ জনের মতো নেতা-কর্মী আহত হন। খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আমাদের নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। রাতভর জিনজিরা পার্টি অফিসে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে অবস্থান করেন তিনি।’