ফ্রিজ কেনার ধুম পড়েছে আসন্ন কোরবানি ঈদ সামনে রেখে। আপনারও যদি এমন পরিকল্পনা থাকে, তাহলে ফ্রিজ কেনার যে বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবেন সেগুলো দেখে নিন।
জায়গা
আগে ঠিক করে নিন ফ্রিজ কোথায় রাখছেন। তারপর ফ্রিজের ধরন অনুযায়ী বেছে নিন আপনার পছন্দের এবং প্রয়োজনীয় ফ্রিজটি।
ধরন অনুযায়ী ফ্রিজ
ডিপ ফ্রিজ সাধারণত দুই ধরনের হয়। দুই ধরনের ফ্রিজেই বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা আছে। তারই কিছু অংশ আজকে তুলে ধরা হবে আপনাদের সুবিধার্থে।
রেফ্রিজারেটর টাইপ ফ্রিজ
এ ধরনের ফ্রিজ সাধারণ ফ্রিজের নিয়মে খোলে। দরজা সোজাভাবে খুলে ভেতরে জিনিস রাখা যায়। কয়েকটি তাক এবং এক বা দুটি বক্স দেওয়া থাকে। এতে ফ্রিজে পছন্দমতো মাছ-মাংস বা মৌসুমি ফল সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
এ ধরনের ফ্রিজের সুবিধা হলো, পুরো ফ্রিজ খুব সহজেই নাগাল পাওয়া যায়। তাক ও বাক্স দেওয়ার কারণে সহজেই আলাদা করে মাছ, মাংস, ফল বা পছন্দের খাবার রাখা যায়। উচ্চতার দিক থেকে বড় হয় বলে দৈর্ঘ্য বরাবর কম জায়গার প্রয়োজন হয়। তবে এত সুবিধার মধ্যেও কিছু অসুবিধা রয়েছে এটির। যেমন ফ্রিজের নিচ পর্যন্ত নাগাল পেতে হলে অনেক ঝুঁকে কাজ করতে হবে। সাধারণত এ ধরনের ফ্রিজের দাম চেস্ট ফ্রিজারের চেয়ে বেশি হয়।
চেস্ট ফ্রিজার
সাধারণত এ ধরনের ডিপ ফ্রিজ সব জায়গায় বেশি দেখা যায়। চেস্ট ফ্রিজার দৈর্ঘ্য বরাবর দরজা খোলে। আমরা যেকোনো জেনারেল স্টোরে আইসক্রিম রাখার জন্য যে ধরনের ফ্রিজার দেখতে পাই সেগুলোই চেস্ট ফ্রিজার। এ ধরনের ফ্রিজ বেশ বড় আকারেও পাওয়া যায়। এ ধরনের ফ্রিজারের নিচের দিকে অনেক বরফ জমে বলে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও লম্বা সময় ধরে খাবার থাকে সুরক্ষিত। এ ধরনের ফ্রিজারের ভেতরে তাক বা বাক্স করা থাকে না বলে খাবার রাখার জন্য আপনাকে হতে হবে একটু বেশি সাবধান। তা ছাড়া এর নিচের দিকে অনেক বেশি বরফ জমে বলে মাঝেমধ্যে অনেক সময় নিয়ে নিচের দিকের খাবার বা মাছ-মাংস ছাড়িয়ে আনতে হয়। তবে নিয়মিত বরফ পরিষ্কার করলে বা মাছ-মাংস আনা-নেওয়া করলে এ ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
অন্যান্য ফ্রিজ
কিছু ফ্রিজ আছে যেগুলোর ভেতরে বরফ জমে এবং খাবার রাখলে তাতেও বরফ জমে। সে ফ্রিজগুলো ফ্রস্ট ফ্রিজ। এগুলো চালাতে বিদ্যুৎ কম খরচ হয় এবং বিদ্যুৎ চলে গেলেও অনায়াসে দুই থেকে তিন ঘণ্টা এগুলোতে খাবার ভালো থাকে। কিছু ফ্রিজ আছে, যেগুলোতে বরফ জমে না। সেগুলো নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। এ ধরনের ফ্রিজে বিদ্যুৎ খরচ হয় বেশি।
মনে রাখুন