কাকলী কান্তি সরদার (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রীর মরদেহ শোয়ার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ সরদারপাড়া গ্রামে। গ্রামের কাজল কান্তি সরদারের দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে ছোট কাকলী কালিগঞ্জ মহিলা মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া করত।
নিহতের মা কাকন সরদার জানায়, কাকলি কলেজের পাশের একটি মেসে অবস্থান করে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গত মঙ্গলবার সকালে কাকলি বাড়িতে ফিরে দুপুরের ভাত খাওয়ার পর মুঠোফোনে তার বন্ধুর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা তিনটার দিক থেকে কাকলির কোনো খোঁজ মিলছিল না। পরে বিকেলে শোয়ার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ভাই মিঠু সরদার জানান, কাকলি কালিগঞ্জ কলেজে পড়ালেখা করতে যাওয়ার সুযোগে একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া পরীক্ষার আগে সে বাড়িতে বেড়াতে আসাকে কেন্দ্র করে তাঁর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে বাড়ির সবার অগোচরে বেলা তিনটার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে বাঁধা ওড়না গলায় পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে সে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, মুন্সিগঞ্জে এক কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার খবরে উপপরিদর্শক আশোককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বুধবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।