হোম > ছাপা সংস্করণ

বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা চরে কেওড়াগাছ রোপণ

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে নতুন চর। জোয়ারে ডুবে গেলেও ভাটিতে আবার জেগে ওঠে। নতুন চরের কাদা-মাটিতে রোপণ করা হয়েছে কেওড়াগাছের চারা। শত শত একর নতুন এই চরের সবখানে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে ছোট ছোট গাছের চারা। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা কাটাখালী খাল থেকে নদীপথে দক্ষিণ দিকে গেলে চোখে পড়বে এই দৃশ্য।

হাতিয়া বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাতিয়ার জাহাজমারা রেঞ্জ অফিসের তত্ত্বাবধানে বন বিভাগ নতুন জেগে ওঠা এসব চরে চারা রোপণ করে। বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন চরসহ উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৪৬০ হেক্টর জমিতে এই চারা রোপণ করা হয়। এ ছাড়া টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের মাধ্যমে একই এলাকায় দুই বছরে ৯০০ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব প্রকল্প সফল হলে এর সুফল পাবেন উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করা মানুষেরা। এর মাধ্যমে নতুন জেগে ওঠা চর উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কার্বন মজুত বাড়ানো, সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধে সবুজ বেষ্টনী তৈরি, নদীভাঙন থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা করাই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাতিয়ার জাহাজমারা কাটাখালী খাল থেকে শুরু করে নিঝুম দ্বীপের পশ্চিম পাশে চর কবিরার দক্ষিণ অংশ পর্যন্ত নদীতে জেগে ওঠা নতুন চরে চারা লাগানো হয়েছে। তিন বছর ধরে এসব এলাকায় নতুন নতুন চর জেগে উঠছে। দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার এলাকায় ১০টির মতো নতুন চর জেগেছে। বন বিভাগ এসব চরের ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সবখানে লাগানো হচ্ছে ম্যানগ্রোভ বাগান।

গত শুক্র ও শনিবার হাতিয়ার জাহাজমারা রেঞ্জ অফিসের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা এসব প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি দল। দলের প্রধান ছিলেন বরিশাল কোস্টাল সার্কেলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ খান। সঙ্গে ছিলেন নোয়াখালী অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিয়া, সহকারী বন সংরক্ষক কাজী তারিকুর রহমান ও জাহাজমারা রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম সাইফুর রহমান।

এ ব্যাপারে হাতিয়ার জাহাজমারা রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম সাইফুর রহমান বলেন, ‘নতুন জেগে ওঠা চর উপকূলবাসীর মূল্যবান সম্পদ। এই সম্পদ টিকিয়ে রেখে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা। আমরা সেই কাজটুকু করে যাচ্ছি। এসব চরে লাগানো গাছের চারা বড় হলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পাবে উপকূলবাসী।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ